কক্সবাজারের উখিয়া সদর রেঞ্জের দোছড়ি বনাঞ্চল বর্তমানে পাহাড়, বালু লুট, গাছপালা নিধনসহ অবৈধ দখলের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এবং রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে রাতের আঁধারে নির্বিচারে এসব লুটপাট চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের দোছড়ি বিট কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান রনি সরাসরি এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত।
বনভূমি থেকে এক ডাম্পার বালু তুলতে দিতে হয় টাকা, আর বন বিভাগের জমিতে ঘর তুলতে হলে দিতে হয় অন্তত ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া পাহাড় ও ছড়া-খাল থেকে বনভূমি অবৈধভাবে দখল করে প্লট আকারে ভাগ করে একরপ্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এই জমি কিনছে স্থানীয় প্রভাবশালী, ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ কিছু রোহিঙ্গা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রভাবশালীরা রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়ে বনাঞ্চলের পাহাড় ও গাছ নিধন করছে।
এরপর খালি জায়গা দখল করে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করছে। অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগ ও সড়কে দায়িত্বে নিয়োজিত হাইওয়ে-ট্রাফিক পুলিশকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে এসব অবৈধ ডাম্পার চলাচল করছে। অবৈধভাবে পাহাড় কেটে মাটি পাচার ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ডাম্পারের প্রধান কাজ। সিন্ডিকেটের সদস্যরা ডাম্পার ব্যবহার করে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, আর এসব অবৈধ কাজের মোটা অঙ্কের টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। সচেতন মহলের মতে, অবৈধ ডাম্পারগুলো এখন সড়কে ঘাতক হিসেবে রূপ ধারণ করেছে।
বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারী ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হচ্ছে একের পর এক, শুধু তাই নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় উখিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। হরিণমারা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। উখিয়া সদর রেঞ্জের বন বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলার ৮টি বিটের অধীনে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে থাইংখালী, পালংখালী, বালুখালী, রাজাপালং, ওয়ালাপালং, ভালুকিয়া ও হলদিয়াপালং এলাকার অন্তত পাঁচ হাজার হেক্টর বনভূমি অবৈধ দখলে চলে গেছে।
উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানোর কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.