1. admin1@shimantoshohor.com : ডেস্ক নিউজ • : ডেস্ক নিউজ •
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : ডেস্ক নিউজ : : ডেস্ক নিউজ :
শিরোনামঃ

এক বছরে ৪ কোটি ৭০ লাখ পর্যটক টানতে চায় মালয়েশিয়া

✍️ প্রতিবেদক: ডেস্ক নিউজ •

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২০ বার পঠিত

বিদেশি পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে মালয়েশিয়া। দেশটির বুকিত বিনতাং এলাকায় দাঁড়ালে চোখে পড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। জার্মানি থেকে এখানে আসা দম্পতি জন ও মারিয়া বলেন, মালয়েশিয়ায় আসার মূল আকর্ষণ ছিল এখানকার খাবার ও সংস্কৃতি। ল্যাংকাউইয়ের সমুদ্রসৈকত আর কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ার ঘুরে আমরা দারুণ আনন্দ পেয়েছি।

তবে শুধু ইউরোপের ভ্রমণপ্রেমীরাই নন, প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ অনেক দেশ থেকেও পর্যটকদের আগমন দিন দিন বাড়ছে। কুয়ালালামপুর ভ্রমণে আসা ঢাকার বাসিন্দা নাহিদা সুলতানা বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের জন্য খুব কাছের একটি দেশ। পরিবার নিয়ে এখানে ভ্রমণে আসা সহজ ও সাশ্রয়ী। বিশেষ করে শিশুদের জন্য থিম পার্ক, অ্যাকোয়ারিয়াম আর ল্যাংকাউই দ্বীপ ভ্রমণ সত্যিই অবিস্মরণীয়।

আরেক বাংলাদেশি পর্যটক মিরাজ হোসেনের অভিজ্ঞতা হলো শপিং ও খাবারকেন্দ্রিক। তিনি বলেন, এখানকার বাজারগুলোতে দারুণ অফার থাকে। আর হালাল খাবার সহজে পাওয়া যায়—এটাও বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে মালয়েশিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এটার ধারাবাহিকতা আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে মালয়েশিয়া সরকার ২০২৬ সালে ৪৭ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক আনার লক্ষ্য স্থির করেছে। ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬ শীর্ষক প্রচারণার মাধ্যমে দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেন, শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং, আঞ্চলিক অংশীদারত্ব এবং ইকোট্যুরিজম ও শপিং ট্যুরিজমের মতো খাতে জোর দেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ৩৮ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১.১% বেশি।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কয়েক লাখ ভ্রমণকারী মালয়েশিয়ায় আসেন, যাদের অনেকে পরিবারভিত্তিক ভ্রমণ ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত ভ্রমণকে গুরুত্ব দেন।

বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্ট মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়ার ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ হলে বাংলাদেশ থেকে পর্যটক সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। বিশেষ করে চিকিৎসা পর্যটনের জন্য মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের কাছে শীর্ষ পছন্দ।

পর্যটন শিল্প বিশেষজ্ঞ লিম কিম হক মনে করেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো মালয়েশিয়ার জন্য একটি বড় বাজার। তার মতে, শুধু পর্যটন আকর্ষণ নয়, সংস্কৃতি ও মানুষের আন্তরিকতাকে সামনে আনতে পারলে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা আরও বেশি আসবেন।

৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত তিন দিনের MATTA ফেয়ার ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬ প্রচারণার আগাম স্বাদ দিয়েছে। তিন দিনের এ মেলায় প্রায় ১,৫০,০০০ দর্শনার্থীর পদচারণা হয়।

পর্যটনমন্ত্রী টিওং কিং সিং বলেন, আমরা চাই টেকসই পর্যটন ও সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়াকে গড়ে তুলতে। আজকের ভ্রমণকারীরা পরিবেশবান্ধব ও অর্থবহ অভিজ্ঞতা খোঁজেন।

২০২৫ সালের প্রথমার্ধেই আন্তর্জাতিক পর্যটন ১৭.৯% বেড়েছে এবং অভ্যন্তরীণ পর্যটনও নতুন রেকর্ড গড়েছে। ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খুচরা বাজারে নতুন প্রাণ ফিরবে।

MATTA সভাপতি নাইজেল ওং বলেন, নতুন উদ্ভাবন, বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা এবং সরকারের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬ বিশ্বকে মুগ্ধ করবে।

বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্যও মালয়েশিয়া তাই কেবল ভ্রমণের নয়, বরং কেনাকাটা, চিকিৎসা ও পারিবারিক অবকাশযাপনের একটি নিরাপদ ও সংস্কৃতিময় গন্তব্য হয়ে উঠছে। আর সেই সম্ভাবনাকেই আরও বড় পরিসরে কাজে লাগাতে চায় মালয়েশিয়া।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!