বাংলাদেশসহ গোটা এশিয়া আজ এক ভয়ংকর মাদকের কবলে ইয়াবা। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না, এই ইয়াবা একসময় সাধারণ চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিলো।
১৯১৯ সালে জাপানে প্রথম ইয়াবা তৈরি হয়। তখন একে ব্যবহার করা হতো হাঁপানি, সর্দি-কাশি, ডিপ্রেশন, নার্ভাসনেস ও ওজন কমানোর চিকিৎসায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ও জাপানের সেনাদের দীর্ঘ সময় জেগে থাকা, ক্ষুধা দমন এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য ইয়াবা সরবরাহ করা হতো। ফলে একে ‘যুদ্ধের ওষুধ’ বলেও অভিহিত করা হতো।
কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই এর ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। মেথঅ্যামফেটামিন ও ক্যাফেইন মিশ্রিত এই ট্যাবলেট দ্রুত আসক্তি তৈরি করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, যার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয়, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, হূদরোগ, কিডনির জটিলতা ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।
আজকের দিনে ইয়াবা আর কোনো চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় না। বরং এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ মাদক।
বাংলাদেশে মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজার ও টেকনাফকে ইয়াবা পাচারের প্রধান রুট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে, তবুও ইয়াবার ভয়াল ছোবল থেকে তরুণ প্রজন্মকে পুরোপুরি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়াবা শুধু একজনকে নয়, গোটা সমাজকে ধ্বংস করে। এজন্য পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে সচেতন হতে হবে।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.