সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ঘোষিত জুলাই শহীদ দিবসের মতো একটি স্মরণীয় দিনে গোপালগঞ্জে রক্ত ঝরার ঘটনাটি আমাদের জাতীয় জীবনে আরেকটি কলঙ্কিত দিন যুক্ত করল। তিনি বলেন, এই রক্তক্ষয়ী ঘটনা যেন আগামী নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো অজুহাত না হয়ে দাঁড়ায়। জাতি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দেখতে চায়—সেটি যেই দলেরই হোক না কেন। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি একথা বলেন।
আনিস আলমগীর বলেন, বুটের তলায় লঙ্ঘিত মানবতার ছবি বাধাই হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। এই সংঘাত পূর্বানুমানযোগ্য ছিল—তবুও কোনো পক্ষ তা এড়াতে উদ্যোগ নেয়নি। বরং মনে হয়েছে, উভয় পক্ষ যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই সংঘর্ষের পথে এগিয়েছে। একদিকে ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের সম্পূর্ণ সহায়তা ও তার নবনির্মিত রাজনৈতিক আদরের সন্তান—এনসিপি; অন্যদিকে ছিল দীর্ঘদিনের ক্ষমতাধর কিন্তু এখন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক সমীকরণে যারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী, তারা যেন পরিণত হয়েছে প্রতিহিংসার খেলোয়াড়ে। আর আমরা সাধারণ নাগরিকরা সারাদিন, এমনকি রাতেও সেই খেলা দেখে গেছি—নিঃসঙ্গ দর্শকের মতো।
তিনি বলেন, এই সংঘাতের ফলে কে জিতল আর কে হারল, সে হিসাব মিলিয়ে লাভ কী? মূল প্রশ্ন হচ্ছে—এই রক্তক্ষয়ী ঘটনা যেন আগামী নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো অজুহাত না হয়ে দাঁড়ায়। জাতি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দেখতে চায়—সেটি যেই দলেরই হোক না কেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণ দেখছে ড. ইউনূসের রাজত্বে সবাই রাজা, চামচিকাও নেতা। মব উস্কানিদাতা ইউটিউবাররা সরকারের বিকল্প উপদেষ্টা। চারিদিকে শত্রু, জনগণ একটা মনিব দেখতে চায়, দৃশ্যমান শত্রু দেখতে চায়, অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়ে যাওয়া কঠিন।
সরকারি ছত্রছায়ায় টেকসই রাজনীতি হয় না উল্লেখ করে আনিস আলমীগ আরো বলেন, রাজনীতি যদি প্রতিশোধের মাধ্যম হয়, তবে শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না; বরং রাজনীতি হতে হবে সহনশীলতার সর্বোচ্চ অনুশীলন।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.