গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রধানকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে ভারত নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় পরশু দিন গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে যে সশস্ত্র হামলা হয়েছে, আমরা মনে করি সেই হামলার
পেছনেও প্রতিবেশী রাষ্ট্র দিল্লির ষড়যন্ত্র আছে।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশটির আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ। এতে বিভিন্ন থানার নেতা–কর্মীরা অংশ নেন।
একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে একটি পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে যে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে গোপালগঞ্জে এ সশস্ত্র হামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে, তাকে ষড়যন্ত্র করতে দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে বরং নগ্ন হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।’
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি ভারত পর্যবেক্ষণ করছে, দেশটির পররাষ্ট্রসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলব আপনারা পর্যবেক্ষণ কী করবেন, বরং সারা বাংলাদেশ থেকে যে সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হয়েছে, যেসব আগ্নেয়াস্ত্র তাদের সরবরাহ করা হয়েছে, এর সঙ্গে আপনারা জড়িত কি না? এ জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাব আরও গভীর তদন্ত করার জন্য।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, গোপালগঞ্জে হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা ভেবেছে অভ্যুত্থানের সংগ্রামী নেতাদের দমিয়ে রাখবে, কিন্তু হামলার পরেও ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জে রাত ১১টায়ও হাজার হাজার মানুষ ছুটে এসেছে। এতে প্রমাণ হয় আগামী দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি শক্তিশালী দল হিসেবে জানান দেবে।
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো অগ্রগতি দেখছেন না বলে অভিযোগ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘জুলাই মাস শেষ হওয়ার পথে, মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দল একমত হচ্ছে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই রাষ্ট্রে প্রতিটি
নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ রাখতে হলে মৌলিক সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’
৩ আগস্টের মধ্যে সরকারকে মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ জারি করার পাশাপাশি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের আয়োজন করার আহ্বান জানান আরিফুল ইসলাম।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় যেকোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি করার অধিকার রয়েছে। সেটা যে নামেই হোক না কেন। এটি তার সাংবিধানিক অধিকার। যারাই হামলার (গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা সংঘর্ষ) পক্ষে মত দিচ্ছেন, তাঁরা সুস্পষ্টভাবে গণহত্যাকারী দলের পক্ষে উসকানিদাতা এবং হামলার পক্ষে মদদদাতা।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, যুগ্ম সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম শাহরিয়ার, আকরাম হোসাইনসহ আরও বেশ কয়েকজন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সংগঠক ও সমন্বয়ক এম এম শোয়াইব।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.