নূরজাহান বেগম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা। ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশাসন, প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক কর্মসূচির মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকও। আপাদমস্তক একজন ব্যাংকার সামলাচ্ছেন দেশের স্বাস্থ্যখাত। আছে নানান সমালোচনা। তবে তিনি এগুলো ‘কেয়ার’ করেন না। নীরবে কাজ করে যাওয়াই তার পছন্দ।
এক বছরে তার কর্মমূল্যায়নে উঠে এসেছে বিশাল ফিরিস্তি। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন জসিম।
সাক্ষাৎকারে নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, কী কারণে আসেন না মিডিয়ায়। আক্ষেপ করে বলেন, ‘সব জায়গায় অরাজকতা, তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি। সহকর্মীদের অধিকাংশ স্লো, জুজুর ভয়, মানিয়ে চলার মানসিকতাসহ নানান কারণে নির্ভীকভাবে কাজ করা খুব কঠিন। আরও কঠিন নির্দলীয়, সৎ ও দক্ষ লোক পাওয়া।’
তারপরও আত্মবিশ্বাসে উৎরে গেছেন—জুলাই শহীদ-আহতদের তালিকা প্রণয়ন, এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ৮০ শতাংশ মেডিসিন সরবরাহে সক্ষমতা অর্জন এবং লুটপাট-অনিয়ম থামাতে ডিজিটালাইজেশনে নজর দেওয়ার কাজে।
নূরজাহান বেগম: বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শহীদ ও আহতদের তালিকা করা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনো হয়নি। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও এটি নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের ক্ষেত্রে সেটা যাতে না হয়, সেই চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছি।
৫ আগস্টের আগে হাসপাতালে রোগীদের তথ্য ও রেজিস্টার ঠিকমতো সংরক্ষণ করা হয়নি। অনেক আহত ব্যক্তি ভয়ে তাদের সঠিক তথ্য, ফোন নম্বর লিপিবদ্ধ করেননি। কেউ কেউ এক জায়গায় কয়েক দিন চিকিৎসা নিয়ে আরেক জায়গায় চলে গেছেন। এসব কারণে তালিকা করার কাজটি কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা এসে শুরুতেই কমিটি করে সব তথ্য সংগ্রহ করেছি। পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নে কাজ করেছি।