কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে আরাকান আর্মির হাতে আটকের পর কৌশলে পালিয়ে এসেছেন ১৭ জেলে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তারা একটি ট্রলারে করে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছালে কোস্টগার্ড তাদের হেফাজতে নেয়। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জেলেদের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকালে সেন্ট মার্টিনের পূর্ব দক্ষিণ সাগরে মাছ ধরার সময় পাঁচটি ট্রলারসহ ৪০ জন জেলেকে আটক করে আরাকান আর্মি।
ফিরে আসা জেলে শামসুল আলম বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে গত মঙ্গলবার সাগরে মাছ শিকারে যাই। গত বুধবার আরাকান আর্মির একটি স্পিড বোট আমাদের ধাওয়া করে পাঁচটি ট্রলার আটক করে। আমাদের ট্রলারে আমরা ৯ জন ও আরেকটি ট্রলারের ৮ জন জেলে ছিল।
আরাকান আর্মির দুই সদস্য আমাদের ট্রলারে উঠে এবং পেছনে তাদের স্পিড বোটে ট্রলারগুলো মায়ানমারের দিকে রওনা করতে বলে। অন্ধকারে আরাকান আর্মির স্পিড বোটটি সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আমরা সুযোগ নিয়ে উল্টো দিকে ঘুরে সেন্ট মার্টিনের কাছাকাছি চলে আসি। এ সময় আমাদের ট্রলারে থাকা আরাকান আর্মির দুই সদস্য সাগরে ঝাঁপ দিয়ে তাদের সীমান্তের দিকে সাঁতরে চলে যায়।’
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘দশজন জেলে নিয়ে আমার ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে যায়।
আরাকান আর্মির সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে আমার ট্রলারসহ পাঁচটি ট্রলার আটক করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। পরে অন্ধকারের সুযোগে আমার ট্রলারটি পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, আরাকান আর্মির হাতে আটকের পর পালিয়ে আসা জেলেদের কোস্ট গার্ড হেফাজতে নিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ তাদের যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমারের জলসীমার কাছাকাছি মাছ শিকারে না যাওয়ার মুচলেকা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.