টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গত বছরের ১৭ আগস্ট দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম শৃঙ্খলা বোর্ড সভা তাদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। ২৭ আগস্টে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ২৫০তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে আজীবন, ১ জনকে ৫ সেমিস্টার, ৭ জনকে ৪ সেমিস্টার ও ৭ জনকে ৩ সেমিস্টার করে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকী ১৫ জনকে তাদের অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি এবং বহিষ্কার আদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ইএসআরএম বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, অর্থনীতি বিভাগের শাওন ঘোষ ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাদিক ইকবাল। এছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রায়হান আহমেদ শান্তকে ৫ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে ৪ সেমিস্টারের বহিষ্কৃত ৭ জন শিক্ষার্থী হচ্ছেন- রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের যোবায়ের দৌলা (রিয়ন) ও রানা বাপ্পি। গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ সরকার উৎস ও মো. আবিদ হাসান (মারুফ)। অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের খালেকুজ্জামান নোমান। ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান।
৩ সেমিস্টারের জন্য ৭ বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন- অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুজন মিয়া ও শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২১ এর শিক্ষার্থী মো. নাঈম রেজা, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, সিপিএস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু ও ইমরানুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রিফাত হোসেন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আনোয়ার হোসেন (অন্তর)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ইমাম হোসেন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তখন তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে শৃঙ্খলা কমিটি তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে। অপরাধের মাত্রানুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে ওই সব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.