বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ ৩৪ হাজার ডলার বা ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) বাংলাদেশ থেকে লুট হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি) নতুন একটি তথ্যচিত্রে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তথ্যচিত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার যেন প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি (বাংলাদেশ’স মিসিং বিলিয়ন্স, স্টোলেন ইন প্লেইন সাইট)।’
মূলত দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার এবং তা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য জোগাড়ের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে এফটি।
তাদের কাছে মূলত জানতে চাওয়া হয়, কীভাবে এরকম বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে বের করে নেওয়া হলো এবং আদৌ তা ফিরিয়ে আনার কোনো উপায় আছে কী না।
তথ্যচিত্রের শুরুতে শেখ হাসিনার পতনের প্রেক্ষাপট দেখানো হয়।
এ নিয়ে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি ও রেজওয়ান আহমেদ রিফাদ। পুরো তথ্যচিত্রে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন, এফটির দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোপ্রধান জন রিড, অ্যাগ্রিকালচার ও কমোডিটি করেসপনডেন্ট সুজ্যানা স্যাভিজ, স্পটলাইট অন করাপশনের ডেপুটি ডিরেক্টর হেলেন টেলর এবং ওয়েস্ট মিনস্টার লবি দলের রিপোর্টার রাফে উদ্দিন।
উল্লেখ্য, সুজ্যানা আগে বাংলাদেশভিত্তিক সাংবাদিক ছিলেন।
ইউটিউবে ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওয়েবসাইটে ভিডিও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে। দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের আগ্রহকে বিবেচনায় নিয়ে নিচে ভিডিওটি যুক্ত করা হলো।
১৫টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে এই তথ্যচিত্রটি। সুনির্দিষ্ট অংশের টাইমলাইন নিচে দেওয়া হলঃ
০০:০০ – সূচনা: আজকের আলোচনার প্রেক্ষাপট
০০:৫৯ – শেখ হাসিনার পতনের কাহিনি
০৩:৩০ – হোয়াইটচ্যাপেল: যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রাণকেন্দ্র
০৪:১৩ – লন্ডন: দুর্নীতির টাকার আন্তর্জাতিক আস্তানা
০৪:৫১ – টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে তদন্ত
০৭:১৫ – সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি সাম্রাজ্যের খোঁজে
০৮:২২ – শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের চিত্র
০৯:৫৬ – আয়নাঘরে এক ঝলক
১০:১৭ – ব্যাংক খাত দখলের গল্প
১২:২৭ – দেশ থেকে অর্থ পাচারের পথ
১৫:২৩ – অন্তর্বর্তী সরকারের আবির্ভাব
১৬:৫১ – এস আলম ও ব্যাংকিং সংকটের যোগসূত্র
১৭:৩৩ – রাজনীতি ও ২০২৬ সালের নির্বাচন সম্ভাবনা
১৮:৩৫ – লুট হওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা
২০:০৩ – বাংলাদেশের আগামীর সম্ভাবনা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাফিয়া রেহনুমা হৃদির বক্তব্য দিয়ে তথ্যচিত্র শেষ হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়, আমরা হয়তো আমাদের শহীদদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারব না—এটাই এখন সবচেয়ে বড় আশঙ্কা।’
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.