বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (গণ-অভ্যুত্থান) সময় আন্দোলনকারীদের উপর হামলার অভিযুক্ত আসামি এবং টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে টেকনাফ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশে তাকে দেখা যায়। আওয়ামী লীগ নেতার জামায়াতের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলার আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী।
সাবেক কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা এবং সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে বর্তমানে একটি মামলার আসামি। টেকনাফ মডেল থানার মামলা নম্বর ৫৪৪/২৪ইং-এ তিনি অভিযুক্ত।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মামলার বাদী মোহাম্মদ রফিকুর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার হামলার ও সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযুক্ত আসামি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কমিটিতে দায়িত্ব থাকা ব্যক্তি ৫ ই আগস্টের পরে কিভাবে জামায়াতের ইসলামী মত দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে? তাহলে কি আমরা ধরে নিবো আওয়ামী লীগের দোসরদের কে জামায়াতে ইসলামী পুনর্বাসন করছে? গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের হামলাকারী আওয়ামী লীগের দোসরকে জামায়াতে ইসলামী দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া খুব দুঃখজনক।”