চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের নাজির (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক) মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আটজন আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ অভিযোগ দায়ের করে তার ব্যাংক হিসাব জব্দ, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এবং বিভাগীয় মামলা শুরুর দাবি আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবীরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. শফিকুল ইসলাম, আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী, ইয়াছিন আলফাজ, মহি উদ্দীন, নাদিম মাহমুদ, সৈয়দ ওয়াহিদ, সাইফুল্লাহ খালেদ ও শামীম পাটোয়ারী।
মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, প্রভাব খাটিয়ে পদে বহাল থাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারীরা বলেন, জামাল উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সিনিয়রদের উপেক্ষা করে নাজির পদে বহাল রয়েছেন। এসময় তিনি রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন। দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোতে জামালের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাত্র ৩০ হাজার টাকা বেতনের এ তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নগরীর কোর্ট রোডে দেড় কোটি টাকার ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তার নামে–বেনামে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, এলপিজি গ্যাস এজেন্সি, প্লট–ফ্ল্যাট ও জমিজমা।
তিনি জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ইটভাটা থেকে মাসোহারা আদায় করতেন। বদলি বাণিজ্যেও লিপ্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগকারীরা জানান, গত বছর দুদক চট্টগ্রামের ছয়টি ভূমি অফিসে চিঠি পাঠিয়ে জামাল উদ্দীন ও তার পরিবারের নামে সম্পদের তথ্য চেয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখনই কার্যকর তদন্ত ও ব্যবস্থা না নিলে প্রশাসনের প্রতি জনআস্থা আরও ক্ষুণ্ন হবে।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.