বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পুলিশের গুলিতে নিহত বিএনপি নেতার দুই মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ মোল্লা অলি ২০১৬ সালের ১০ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনাকে বিএনপি একটি পরিকল্পিত ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করে। সেই থেকে দুই কন্যা রেখে যাওয়া অলির পরিবারে নেমে আসে গভীর শোক ও সংকট। এই কঠিন সময়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ব্যক্তিগতভাবে অলির দুই কন্যার বিয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালে বড় কন্যা নাঈমার বিয়ে তার আর্থিক সহায়তায় সম্পন্ন হয়। রোববার (৩১ আগস্ট) দ্বিতীয় কন্যা সাদিয়া সুলতানার বিয়েও তারেক রহমানের বিশেষ সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন জানান, গ্রামীণ পরিবেশে আয়োজিত সাদামাটা এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত আবেগঘন। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নবদম্পতির হাতে উপহার সামগ্রী ও বিশেষ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি নেতা-কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো একটি পারিবারিক সংগঠনও। অলিউল্লাহ মোল্লা অলির মৃত্যু রাজনৈতিকভাবে বেদনাদায়ক একটি অধ্যায় হলেও, তার সন্তানদের পাশে দাঁড়ানো বিএনপির মানবিক নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অলির দুই কন্যার বিয়ের দায়িত্ব নেয়াকে কেবল একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান হিসেবে নয়, বরং মানবিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি মূল্যবান নিদর্শন হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, উপদেষ্টা আবুল কাশেম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মিসবাহসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।