
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছোট্ট দ্বীপ সোনাদিয়া (আয়তন ৯ বর্গকিলোমিটার) ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত। দ্বীপে পাওয়া গেছে মূল্যবান ভারী খনিজ ইলমেনাইট, গারনেট, ম্যাগনেটাইট, জিরকন, রুটাইল ও মোনাজাইট, যার পরিমাণ আনুমানিক ৭ লাখ টন। এর মধ্যে গারনেট (৫১.৫২%) ও ইলমেনাইট (৩৮.১৪%) সবচেয়ে বেশি।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক জার্নাল ডিসকভার জিওসায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণাটি করেছেন নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার গবেষক। গবেষণায় দেখা গেছে, গারনেটের মোট মজুত প্রায় ৩ লাখ ৪৩ হাজার টন এবং ইলমেনাইটের ২ লাখ ৬০ হাজার টন। বালিয়াড়ির বালিতে সবচেয়ে বেশি খনিজ ঘনত্ব পাওয়া গেছে।
গারনেট ব্যবহৃত হয় ওয়াটারজেট কাটিং, স্যান্ডব্লাস্টিং, পলিশিং ও পানি পরিশোধনে; রত্নমানের গারনেট গয়নায়ও ব্যবহৃত। ইলমেনাইট থেকে উৎপন্ন টাইটানিয়াম ডাই–অক্সাইড ব্যবহৃত হয় বিমান, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা শিল্পে। এর বার্ষিক বিশ্ববাজারমূল্য প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।
তবে ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি (আইএমএমএম) মনে করছে, সাত লাখ টন খনিজ “যৎসামান্য”, এবং বাণিজ্যিকভাবে তা উত্তোলন সম্ভব কি না, আরও পরীক্ষা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ১৯৮০ সালের গবেষণায় কক্সবাজার উপকূলে ২১ মিলিয়ন টন খনিজের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল।
সরকার এখন নদীর বালিকে প্রক্রিয়া করে খনিজ ব্যবহারের প্রকল্প নিচ্ছে—এতে বছরে ২ হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব বলে কর্মকর্তারা জানান। তবে সমুদ্র বা দ্বীপাঞ্চলের বালি নিয়ে এখনই সরকার ভাবছে না।
গবেষণায় বলা হয়, সোনাদিয়ার খনিজগুলো—ইলমেনাইট, রুটাইল, জিরকন, গারনেট, মোনাজাইট, ম্যাগনেটাইট ও কায়ানাইট—সবই শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সিরামিক ও গয়না শিল্পে ব্যবহৃত হয় এবং বিশ্ববাজারে চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা মিয়া বলেন, দ্বীপাঞ্চলের এসব খনিজে দামি রেয়ার আর্থ উপাদান থাকার সম্ভাবনা আছে। তাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ধীরেসুস্থে গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.