কক্সবাজারের টেকনাফের তালিকাভুক্ত শীর্ষ রোহিঙ্গা ‘ডাকাত’ মো. শফিকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর আস্তানা থেকে বন্দুক, মাইন, গুলি ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। শফি টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়ার ২৬ নম্বর রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সি ব্লকের দীল মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ২১টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া ২৬ নম্বর রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পশ্চিম পাশে হাজির প্রজেক্ট পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানস্থল থেকে ১টি ওয়ান শুটারগান, ২টি একনলা বন্দুক, ১টি এলজি, ১০টি অ্যান্টি–পারসোনাল মাইন, ১০টি ডেটোনেটর, ৫০টি তাজা রাইফেলের গুলি, ৫৩টি রাইফেলের খালি কার্তুজ, ৬টি শটগানের খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৩টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, শীর্ষ ‘ডাকাত’ শফিকে ধরতে এক মাস ধরে গোপনে নজরদারি করছিল র্যাব। অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত শফি ও তাঁর সহযোগীদের অবস্থানের তথ্য পাওয়া যায়। সোমবার রাতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শফি ‘ডাকাতকে’ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন র্যাব সদস্যরা। এ সময় তাঁর সহযোগীরা শফিকে ছিনিয়ে নিতে র্যাবকে লক্ষ্য করে ৪ থেকে ৫টি গুলি চালায়। তৎক্ষণাৎ র্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ৩টি গুলি ছোড়েন।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, শফির নামে ২টি হত্যা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ৬টি অস্ত্র মামলাসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এলাকায় ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার মো. শফি ওরফে ডাকাত শফিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Cox's Bazar Office: Main Road, Kolatli, Cox's Bazar, Bangladesh.
Ukhia Office: Main Road, Ukhia, Cox's Bazar, Bangladesh.
Email: shimantoshohor@gmail.com
© 2025 Shimantoshohor.com. All rights reserved.