কক্সবাজার সদর থানাধীন নাজিরহাট এলাকার বাকখালী নদীর মোহনায় বিশেষ অভিযানে ৪,৬০,০০০ (চার লক্ষ ষাট হাজার) পিস ইয়াবাসহ ৯ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১৫। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে র্যাব-১৫ এর অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় টেকনাফ থেকে একটি বড় ইয়াবার চালান মাছ ধরার ট্রলারে করে কক্সবাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে বাকখালী নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে ট্রলারটি আটক করা হয়। তল্লাশির সময় ট্রলারের তেলের ড্রামের ভেতর কৌশলে লুকানো অবস্থায় ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ট্রলারটি ফিশারিঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়
১. আব্বাস উদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত কলিম উল্লাহ, সাং-পেশকারপাড়া, কক্সবাজার সদর।
২. মোঃ আবু তাহের (৪২), পিতা-মৃত মোজাফ্ফর মাঝি, সাং-বড়ইতলী, চকরিয়া।
৩. মোঃ ফিরোজ (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুস সালাম, সাং-বোলায়খালী, ঈদগাঁও।
৪. মোস্তাক আহাম্মদ (৪০), পিতা-মৃত নুরুল আজিম, সাং-দক্ষিণ মাইজপাড়া, ঈদগাঁও।
৫. নবী হোসেন (৩৮), পিতা-মৃত মোজাহের আহাম্মদ, সাং-লাহারপাড়া, কক্সবাজার সদর।
৬. শাহাব উদ্দিন (৫৫), পিতা-আব্দুল মতলব, সাং-ডুমখালী, চকরিয়া।
৭. সেলিম (৬৮), পিতা-মৃত মিরাজ, সাং-লেচুপ্রাং, হ্নীলা, টেকনাফ।
৮. জাফর আলম (৬৩), পিতা-মৃত সৈয়দ আহাম্মদ, সাং-লাহারপাড়া, কক্সবাজার সদর।
৯. আবুল কালাম প্রঃ কালু (৭০), পিতা-মৃত গফুর গাজী, সাং-লম্বাতলী, চকরিয়া।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জব্দ হওয়া ট্রলারের মালিক এবং ইয়াবার মূল হোতা মহেশখালীর মোঃ বোরহান উদ্দিন, যিনি বর্তমানে পলাতক। আটকরা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।
আটককৃত আসামি ও মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব-১৫ নিশ্চিত করেছে।