উখিয়ায় ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং এইচআইভি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম বিষয়ক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উখিয়ার হিজলিয়ায় অবস্থিত ৮ এপিবিএন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই আয়োজন করা হয়। দাতা সংস্থা ইউএনএইচসিআর সভায় সহযোগিতা প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ০৮ এপিবিএনের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার পুলিশ সুপার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আরআরআরসি অফিসের হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. আবু তোহা এম. আর. এইচ ভূঁইঞা, উখিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার এবং ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি শিরিন আক্তার।
বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মো. নাজমুল হক সভায় সংস্থার চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বন্ধু সংস্থা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং এইচআইভি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম বন্ধু পরিচালনা করে আসছে। এসব কার্যক্রমে ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা এপিবিএন সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “সচেতনতা বৃদ্ধি হলো এইচআইভি ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের প্রধান উপায়। এ ক্ষেত্রে এপিবিএন সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ক্যাম্প এলাকায় গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।”
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার এইচআইভি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। তাই এখানে বিশেষভাবে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন সদস্যরা অংশ নেন। সভার সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের টিম লিডার সোহেল রানা এবং সঞ্চালনা করেন সেন্টার ম্যানেজার সরোয়ার মোর্শেদ আরিফ। বন্ধুর পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন অফিসার-হেলথ ডা. সামিয়া আফসার, অফিসার-মনিটরিং রাজু আহমেদ এবং সেন্টার ম্যানেজার মো. তাহিদুল ইসলাম।