1. admin1@shimantoshohor.com : নিজস্ব প্রতিবেদক: : নিজস্ব প্রতিবেদক:
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : বিশেষ প্রতিবেদক : Badioul Alam বিশেষ প্রতিবেদক

জাবিতে রাজাকার লেখা কুশপুতুল দাহ, আবাসিক হল থেকে ভুয়া ধ্বনি

✍️ প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৪ বার পঠিত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনীর প্রতিবাদে মশালমিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মশালমিছিলটি বের করা হয়।

মিছিলটি ছাত্রদের সাতটি হলসংলগ্ন রাস্তা ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ‘রাজাকার’ লেখা একটি কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। এদিকে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মশালমিছিল চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, ২১ নম্বর হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল থেকে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগানসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেন আরেক দল শিক্ষার্থী।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, আমরা বারবার দেখেছি বাংলাদেশে রাজাকারদের আস্ফালন ঘটেছে। বারবার দেখেছি, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। জুলাই আন্দোলনের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’,- এ স্লোগানটি ব্যবহার করে তারা মুক্তিযুদ্ধের রাজাকার শব্দকে নরমালাইজড করার চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধের রাজাকারদের নেতা হিসেবে মানে বলেই শিবির ও জামায়াত আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের ছবি প্রদর্শন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই, যারা রাজাকারদের হয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিতে চায় তাদের অস্তিত্ব বাংলাদেশ থেকে বিলীন হয়ে যাবে। রাজাকারদের পুনর্বাসনের সব অপচেষ্টা ও পায়তারা রুখে দেওয়া হবে।

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, যে রাজাকাররা বাংলাদেশের জাতির পতাকা খামচে ধরেছিল, সেই রাজাকারদের ছবি গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক প্রদর্শনী করা হয়েছে। রাজাকারদের ছবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হওয়ার মতো কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে যখনই আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে চেয়েছি, তখনই আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা মানেই আওয়ামী লীগের দোসর নয়। মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের জ্বলন্ত ফ্যাক্ট, এই ফ্যাক্টকে ধারণ করেই এ দেশে রাজনীতি করতে হবে।

এদিকে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজাকার কারা, যারা ১৯৭১ সালে একটি স্বাধীনতাবিরোধী স্বেচ্ছাসেবী জোট। চরম আওয়ামী বিদ্বেষ মানেই রাজাকার হিসেবে গণ্য করার কোনো মানে নেই। খুব প্র্যাকটিসিং মুসলিমকেও রাজাকার হিসেবে গণ্য করার কোনো কারণ নেই। আমরা বিশ্বাস করি, যারা ১৯৭১ সালে নিজেদেরকে পাকিস্তানের সহায়ক ফোর্স হিসেবে গণ্য করেছে, বাংলাদেশে যত গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ ঘটেছে, তারা নিরঙ্কুশভাবে সহযোগিতা করেছে আমরা তাদের রাজাকার হিসেবে ঘোষণা করছি।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে কিংবা বর্তমানে যেকোনো সময়, যেকোনো অছিলায় যদি রাজাকারকে ‘নরমালাইজ’ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে স্বাধীনতাকামী ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই তা বরদাশত করবে না। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই, কিন্তু গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ, গণহত্যা সহযোগী জামায়াত ও শিবিরকে কখনোই আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে রিলেটেবল মনে করি না।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com