নতুন সংবিধান গড়তে না পারলে বারবার ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারি।
রোববার (২৭ জুলাই) নেত্রকোনায় এনসিপির পদযাত্রায় এই কথা বলেন তিনি।
এসময় নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারি বলেন, সংস্কার বিচার বিভাগ এবং নতুন সংবিধান গড়তে না পারি তাহলে বারাবার ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে। ৭২ সনে যে সংবিধান বানিয়েছে তা তাদের সুবিধার জন্য করেছে। ভারতীয় আধিপত্যের মাধ্যমে আলেম সমাজকে মুসলমানদের কোনঠাসা করে রেখেছে।
ওই সংবিধানে মানুষের অধিকার ছিলো না। আমরা যে সংবিধানের কথা বলছি সেটি মানুষের সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। যারা আমাদের দেশের মানুষ কে গুম করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলো, এতো এতো মানুষ খুন করেছে তাদের বিচার করতেই হবে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান সংস্কার এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার নিয়ে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।
সভায় বিচার, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গঠনে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র নিশ্চিতে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা বারোটায় শহরের মোক্তারপাড়া কালেক্টরেট মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ স্থলে আসেন। এর আগে জেলা শহরে পদযাত্রা করার কথা থাকলেও, একমুখী জেলা শহরে জনদুর্ভোগ ও যানজটের কথা চিন্তা করে পদযাত্রা বাতিল করা হয়। সে সময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভা করেছেন নাহিদ ইসলাম সার্জিস আলমরা।
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.তাসনিম জারা নেত্রকোনায় ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবসের শহীদদের স্মরণ করে বলেন , ” অনেক সময় আমাদের জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বলা হয় আমরা নাকি একাত্তরকে ধারণ করিনা কিন্তু আমি বলবো একাত্তরও আমাদের,চব্বিশও আমাদের, বাংলাদেশের সবার,নেত্রকোনার মানুষ কঠোর পরিশ্রম করেন,এ জেলার মানুষের সাথে পালাগান,হাওর,বাওরের সাথে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে,এ অঞ্চলে বন্যা একটা বাস্তবতা,নিয়মিত বিরতিতে বন্যা হয়,বন্যায় আপনাদের ঘর, বাড়ি,ফসল,প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতি হয়, কিন্তু বন্যা মোকাবিলায় যেরকম প্রস্তুতি, ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হয় সেরকম ব্যবস্থা করা হয় না,রাষ্ট্রের পক্ষ যেসকল ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিলে তা নেওয়া হয়নি বরং আপনাদের নিজস্ব শক্তি, সাহসের মাধ্যমে আপনারা ঘুড়ে দাঁড়িয়েছেন।এ জেলায় বন্যা মোকাবেলা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে,আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই যেখানে কেউ চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে না,দুর্ণীতি থাকবেনা”
পদযাত্রা সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তরাঞ্চলে মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান ও রুহুল আমিন আইনী। পরে বক্তব্য শেষে দ্রুত সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। শেরপুরের দিকে রওয়ানা হয়েছেন নেতারা।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সমন্নয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, এহতেসামুল হক, মনিরা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আল হামিদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক জাকারিয়া ইমন প্রমুখ।