ঢাকায় যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ করতে মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধ হলে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই রাজধানীর সড়কে আরও গতি আসবে। সরকারের লক্ষ্য নিশ্চল শহরের সড়কে গতি বৃদ্ধি করা।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হাতিরঝিলে চলাচলকারী চক্রাকার বাসের ভাড়া পরিশোধে র্যাপিড পাস ব্যবহার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাওজুল কবির খান এ কথা বলেন। কারওয়ান বাজারে এফডিসির সামনে এই অনুষ্ঠান হয়।
আজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়ক থেকে উচ্ছেদে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অভিযান শুরু করেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের সড়ক-মহাসড়কে এমন কিছু জরাজীর্ণ যানবাহন চলাচল করে, যা থাকার কথা ছিল না। কোনো পরিবহন ব্যবসায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা সরকারের উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যান সড়কে থাকলে যানজট হয়। পরিবেশদূষণ করে।
এ বিষয়ে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকেও সরাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সেসব বাসমালিকের জন্য বিশেষ রেয়াতি হারে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবহন খাতে থাকা দীর্ঘদিনের সমস্যা দিনে দিনে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি কিছু একটা সূচনা করতে। অন্তত আমরা যেন কিছুটা অভিযোগ লাঘব করতে পারি। মেট্রোরেল হওয়াতে জনমনে একটা স্বস্তি হয়েছে। এবং যাতায়াতে একটা গতি এসেছে। সড়কেও আমাদের সেই গতিটা আনতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও শেখ মইনউদ্দিন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এহসানুল হক, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও সড়ক পরিবহন খাতের শ্রমিক নেতা শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ।