বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিলে সীমান্ত বানিজ্যের পথ খুলে যাবে উখিয়া দিয়ে।
তিনি বলেন, এই করিডোর বাস্তবায়িত হলে তরুণদের জন্য বৈধ ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং সীমান্ত বানিজ্য নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
পালংখালীর ফারিরবিল এলাকার মিনহাজুল কোরআন ওয়াচ্ছুন্নাহ্ আলিম মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশের উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি খেলাধুলার পরিবেশ উন্নত করা হবে।
স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে তিনি ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন, যখন বাকশাল গঠনের মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ প্রায় ৪০টির মতো রাজনৈতিক দলকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনিই।
নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন বড়রা ভোট দিয়ে আমাকে এমপি বানিয়েছিল। এখন তোমরা তরুণ, আমি বয়োজ্যেষ্ঠ—তোমাদের হাতেই রয়েছে পরিবর্তনের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে সাধারণ মানুষ প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ পায়, যা অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পালংখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মোক্তার ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিদোয়ান সিদ্দিকী, মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা বেগম, যুবদলের আহ্বায়ক মো: শাহ আলমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটার।