ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থামাতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন দলটির মহাসচিবের ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করে দলটির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভাইয়ের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন উজ্জ্বল নামে দলটির এক কর্মী। তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, ‘উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র করে দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা চলছিল সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ। ফলাফল ঘোষণার সাহস পাচ্ছিলেন না উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা লোকজন। পরে অনুরোধের প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও থেকে রাত ৮টায় ভোটকেন্দ্রে আসেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। ফলাফল ঘোষণা করে ফেরার সময় তার ওপর চেয়ার ছুড়ে মারেন বিএনপি’র বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় তার গাড়ির সামনের ও পেছনের গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ জানান, ফলাফল ঘোষণার পর তৃতীয় তলা থেকে নিচে নামার সময় হটাৎ করেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
গাড়িতে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক নেতা রাশেদ আলী জানান, কোনোমতে ভাইকে রক্ষা করেছি। সাথে যারা ছিল অন্য গাড়িতে করে মহাসচিবের ভাইকে পার করে দিয়েছি। তবে রাতে আলো কম থাকায় হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।
এর আগে দুপুর আড়াইটার সময় বালিয়ডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় সভাপতি পদে ২ দুই ভোটে নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় জেলা থেকে আসা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
পরে সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলমকে সভাপতি এবং ড. টিএম মাহবুবর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং অয়ন চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।