তিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং নয়াপাড়া সড়কে ৪০ বছর আগে নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। এতে করে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার হাজারো মানুষ। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়াত করে রামু ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনীর যান, পর্যটকবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি, টমটম ও সিএনজি অটোরিকশা।
ধোয়াপালং হয়ে মরিচ্যাবাজার, মিনি বান্দরবন ও হিমছড়ি মেরিন ড্রাইভমুখী সব যানবাহনের জন্য এটি অন্যতম প্রধান সড়ক। সরেজমিনে দেখা যায়, তিন মাস আগে সড়কের একটি পাশ ধসে পড়লেও এখনো মেরামত করা হয়নি। ধসে যাওয়া স্থানটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় বালুর বস্তা দিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণে সেটিও সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, ‘অবৈধভাবে মাটি পরিবহনকারী ১০ চাকার ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে ব্রিজটির একটি অংশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এবার বৃষ্টিতে সেটি পুরোপুরি ধসে গেছে। এখন মাঝখানে বড় গর্ত হয়ে গেছে, আর যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। নেই কোনো বিকল্প সড়ক। ফলে ধসে যাওয়া
হতে গিয়ে চরম ঝুঁকি নিচ্ছেন সবাই। ছোট যানবাহন কোনোমতে চললেও বড় গাড়ি একেবারেই বন্ধ রয়েছে। গাড়িচালক নুরুল আমিন মুন্না বলেন, ‘তিন মাস ধরে সড়কটা ধসে যাচ্ছে, এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে যাত্রী নামিয়ে গর্তের পাশ দিয়ে গাড়ি ঠেলে পার হতে হয়। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আর চালানো সম্ভব না।’ স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রামু ক্যান্টনমেন্ট থেকে শুরু করে পর্যটকেরাও এই রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু ব্রিজের মধ্যখানে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, পাশে ব্লকসহ ছড়ায় তলিয়ে গেছে। চেয়ারম্যান সাহেব প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন, কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান নয়। এখন ৬০ শতাংশ রাস্তা পানির নিচে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য হামিদুল হক বলেন, ‘আমার পক্ষে কোনো বাজেট নেই। চেয়ারম্যান সাহেব বিস্তারিত জানাতে পারবেন।’ এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে এলাকাবাসী রামু উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজের সংযোগ সড়কটি সংস্কার না হলে পুরো এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।