র্যাবের সোর্স পরিচয়ে পরিচিতি দিয়ে এবং র্যাবের সিনিয়র অফিসারদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোস্তাক আহম্মেদ (৪০)। সে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার পানখালী এলাকার বাসিন্দা। পিতা-মৃত কালা মিয়া, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া ও টেকনাফ থানা এলাকায় মোস্তাক আহম্মেদ ‘র্যাবের সোর্স’ পরিচয় দিয়ে স্থানীয় জনগণ ও মাদক কারবারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছিলো। এমনকি সে ‘ক্রসফায়ারে দেয়ার’ হুমকি দিয়েও অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাজুড়ে তার গড়ে তোলা অপরাধ সাম্রাজ্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এই ধরনের অপরাধ দমনে র্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ায় এবং একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৬ আগস্ট রাতের দিকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে র্যাব-১৫ এর সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল মোস্তাক আহম্মেদকে ২টি স্মার্টফোন, ১টি নোহা গাড়ি এবং নগদ ৮৫০ টাকা’সহ গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মোস্তাক আহম্মেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ নিশ্চিত করেছে, মোস্তাক আহম্মেদের র্যাবের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক বা সম্পৃক্ততা নেই। কেউ যদি র্যাবের নাম ব্যবহার করে কোনো অনৈতিক কার্যকলাপে জড়ায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা র্যাব-১৫ কে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।