1. admin1@shimantoshohor.com : ডেস্ক নিউজ • : ডেস্ক নিউজ •
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : ডেস্ক নিউজ : : ডেস্ক নিউজ :
শিরোনামঃ
উপহারের দামি ঘড়ি জমা দিলেন তোষাখানায়, আইপ্যাড ফিরিয়ে দিলেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির এই দেশে একটি স্বচ্ছ সংসদ চাই: শামা ওবায়েদ মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে ৩৮ বাংলাদেশি আটক মাত্র ১০০ রুপিতে বিশ্বকাপ টিকিট, উদ্বোধনে গাইবেন শ্রেয়া ঘোষাল বছরজুড়েই রাসূলুল্লাহর জীবন-আদর্শ চর্চা অব্যাহত রাখার আহ্বান জামায়াতের কক্সবাজারে ছাত্র অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল ধর্ম অবমাননার দায়ে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা রেজুখাল চেকপোস্টে বিজিবি’র অভিযানে ১০৩৫ পিস ইয়াবাসহ নারী আটক সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ

শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে সাঈদীর মামলার বাদী-সাক্ষীর অভিযোগ

✍️ প্রতিবেদক: ডেস্ক নিউজ •

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৫ বার পঠিত

হুমকি ও ভয় দেখিয়ে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে সাক্ষী দিতে বাধ্য করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন মামলার বাদীসহ তিন সাক্ষী।

অভিযোগকারী হলেন- সাঈদীর মামলার সাক্ষী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুল আলম হাওলাদার, আলতাফ হাওলাদার, মাহাতাব উদ্দিন হাওলাদার। তারা সবাই পিরোজপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ দেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে আরেক সাক্ষী মধুসূদন ঘরামির আত্মীয় সুমন্ত মিস্ত্রি এসেছিলেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনজনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হোসেন।

শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, মো. শাহিনুর ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএম আউয়াল ওরফে সাইদুর রহমান, তদন্ত সংস্থার সাবেক সহসম্বয়ক পরে সমন্বয়ক এম. সানাউল হক খান, প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, সাঈদীর মামলার দায়িত্বরত প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাঈদীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ ৪০ জন।

অভিযোগকারী মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। আমাকে পিরোজপুরের তৎকালীন স্থানীয় এমপি এ কে এম এ আউয়াল ও তার লোকজনের সহযোগিতায় নির্যাতন ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য করেছিল।

তিনি জানান, শেখানো জবানবন্দি আদালতে দিতে বাধ্য হই। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিযানগর) থানার পাড়েরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলের মাঠে আমাকে বাসা থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। তাদের সঙ্গে ওই দিন পিরোজপুর সদর থানার তৎকালীন ওসি ও ইন্দুরকানী (জিযানগর) থানার তৎকালীন ওসি নাসিরউদ্দিন মল্লিকসহ আরও কিছু পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন ঘটনাস্থল রাজলক্ষ্মী স্কুলে মানিক পসারী, সুখরঞ্জন বালি, রুহুল আমিন নবীন, মধুসূদন ঘরামি, সুলতান, মফিজ পসারী, বাবুল পণ্ডিত, জলিল শেখ, গৌরাঙ্গসহ অনেককে আমি দেখতে পাই (এদের সবাইকে ট্রাইবুনালে সরকাররের শেখানো সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছিল)।

এরপর আসামি তৎকালীন পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক আমাদের বলেন, হেলাল ভাই তোমাদের যা বলতে বলে আর যা করতে বলে সেটাই করতে হবে। এর অন্যথায় হলে তোমাদের ঘরের লোকেরা লাশও খুঁজে পাবে না। এরপর আসামি হেলাল উদ্দিন আমাদের স্কুলের অপর একটি রুমে নিয়ে যান এবং আমাদের কাছে পিরোজপুর শহর ও ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) থানায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা জানতে চান। আমরা ওই সময়কার যত সত্য ঘটনা জানি তা খুলে বলি।

রাজাকারদের হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ সব অপকর্মের সত্য ঘটনা তাকে বলি। কিন্তু আমরা সেখানে কেউই সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। তাকে আমাদের মধ্যে অনেকেই তখন চিনতাম। তিনি রাজাকার ছিলেন না, আর আমরা তার নামও বলিনি। কিন্তু পরে হেলাল উদ্দিন আমাদের বলেন সব রাজাকারের নামের সঙ্গে সাঈদীর নামও যুক্ত করতে হবে। আমরা অস্বীকার করলে তিনি এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন।

অভিযোগে বলা হয়, ৭১ সালে সুখরঞ্জন বালির ভাই বিশাবালীকে (বিশেশ্বর বালী) হত্যা করে পাকসেনারা। হেলাল উদ্দিন সুখরঞ্জন বালিকে তার ভাই বিশাবালী হত্যার জন্য সাঈদী হুজুরকে দায়ী করে জবানবন্দি দিতে বলেন। কিন্তু সুখরঞ্জন বালি রাজি না হওয়ায় তাকে হেলাল উদ্দিন ও উপস্থিত অন্যরা চরম অত্যাচার শুরু করেন। এরপর পিস্তল ঠেকিয়ে হেলাল বলেন, ‘আমার শেখানো মতে জবানবন্দি না দিলে তোদের গুলি করে হত্যা করবো। নির্যাতন সইতে না পেরে এবং মৃত্যুর ভয়ে সাঈদী সাহেবের নাম বলতে রাজি হই। জানের ভয়ে হেলাল উদ্দিন যে জবানবন্দি লিখে দেন তাতে সই করি।

বিজ্ঞাপন

একদিন আমিসহ ৫/৬ জনকে ট্রাইবুনালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ হায়দার, রানা দাশগুপ্ত, মোখলেছুর রহমান আমাদের এজলাস ঘুরিয়ে দেখান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির ও ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শাহিনুর ইসলাম আসেন। গোলাম আরিফ টিপু (বর্তমানে মৃত) ও আসামি সানাউল হক তখন ওই আসামি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি আমাদের বলেন, তোমাদের যেভাবে শিখিয়ে-পড়িয়ে আনছে, সেভাবে সাক্ষী দেবা, তাইলে পুরস্কার পাবা। তুমি ভুল সাক্ষী দিলেও আমি ঠিক কইরা নেবো। কিন্তু সাঈদীর নাম না কইলে তোমাদের রক্ষা নেই। শেখানো সাক্ষী দেবা তাইলে পুরস্কার পাবা। তোমরা খালি নাম কইবা, সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়ার দায়িত্ব আমার, তোমাগো কোনো ভয় নেই। এ টি এম ফজলে কবির আমাদের একইভাবে শেখানো সাক্ষ্য না দিলে হত্যার হুমকি দেন।

নিজামুল হক নাসিমের ওই কথার সঙ্গে সম্মতি দিয়ে সেখানে উপস্থিত ট্রাইবুনালের তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. শাহিনুর ইসলাম (পরে চেয়ারম্যান) আমাদের তাদের কথা মতো সাক্ষী না দিলে জীবননাশের হুমকি দেন এবং বিষয়টা মনে থাকে যেন বলে হুমকি দেন। বিচারকদের এমন আচরণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও আইনের ঘোরতর লঙ্ঘন, যা ন্যায়বিচারকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে এবং এটি ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।

হত্যার হুমকি দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য আদায় করে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যুদ্ধাপরাধ/মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি ছিল মূলত সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

অভিযোগকারীরা বলেন, এ মামলা করিয়ে আমাদের সমাজে মিথ্যাবাদী হিসেবে চিত্রায়িত করে জীবনকে বিষাক্ত করে তুলেছে, অব্যাহত হযরানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, গ্রেফতার এবং বিচার নিশ্চিত করার জন্য আবেদন জানানো হয়।

এ বিষয়ে তাদের আইনজীবী পারভেজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০০৯ সালে মাহবুবুলকে ডেকে আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন সেখানকার তৎকালীন এমপি আউয়াল। তবে রাজি না হওয়ায় তাকে তৎকালীন পিপি কার্যালয়ে তুলে নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর দীর্ঘ নির্যাতনের একপর্যায়ে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে সাঈদীর নামে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন। তখনও তাকে যাত্রাবাড়ী থানার অধীনে কথিত সেইফ হোমে এনে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগকারী বাকি দুই সাক্ষীরও একইভাবে জবানবন্দি নেন তৎকালীন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।

গত ২১ আগস্ট সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুমসহ নির্যাতনের দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি। অভিযোগের পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!