কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকায় মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে।
জানা যায়, ৬নং সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া এলাকার রবি আলমের ১৩ বছর বয়সী কিশোরী মেয়ে তসলিমা আক্তার নিজ বাড়িতে মুরগিকে খাবার খাওয়ানোর সময় পাশ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন পেছন দিক থেকে তসলিমার হাত ও মুখ চেপে ধরে নিজের বাড়িতে নিয়ে এই অপকর্ম চালায়। মামুন একই এলাকার আলী হোসেনের পুত্র
ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তসলিমার পরিবার সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কাছে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় ধর্ষকের পরিবার তাদের পথ আটকায়। তারা জানায়, বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
পরবর্তীতে, বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ৯টায় ৬নং সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর আলম এবং সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
তবে, ভুক্তভোগী তসলিমার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
এবিষয়ে তসলিমা আক্তারের পরিবার সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানা গেছে।