রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস ছড়ানো কক্সবাজার জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ডাকাত শফি’ অবশেষে ধরা পড়েছে র্যাব-১৫ এর হাতে।
গতকাল (২৮ জুলাই) গভীর রাতে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেডসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শফি ওরফে ডাকাত শফি টকনাফের নয়াপাড়া মুছনি রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬, সি-ব্লকের দীল মোহাম্মদের পুত্র।
র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬ এর পশ্চিম পাশে হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত ডাকাত শফি ও তার সহযোগীদের ঘিরে ফেলে। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে অভিযানে গেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় শফিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা ৩ রাউন্ড গুলি চালায়।
পরে শফির স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে তার পাহাড়ি আস্তানা থেকে ১টি ওয়ান শুটার গান, ২টি একনলা বন্দুক, ১টি এলজি, ১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন, ১০টি ডেটোনেটর, ৫০টি তাজা রাইফেলের গুলি, ৫৩টি রাইফেলের খালি কার্তুজ, ৬টি শর্টগানের খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৩টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, শফির বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ২১টি মামলা। এর মধ্যে রয়েছে ২টি হত্যা মামলা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ৬টি অস্ত্র মামলা ও ৬টি মারামারির মামলা। সে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্প এলাকায় একটি দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল, যারা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত শফিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয়রা র্যাবের এ সফল অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস ও অস্ত্র কারবার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে।