আমাদের দেশে উৎসব বা বিশেষ অনুষ্ঠানে মেহেদি ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। নারীদের পাশাপাশি কিছু সৌখিন পুরুষও বিয়ে, ঈদ উপলক্ষে মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন।
ইসলামে নারীদের জন্য হাতে বা পায়ে মেহেদি লাগানো জায়েজ ও উত্তম হলেও পুরুষের জন্য হাতে বা পায়ে সাজসজ্জার জন্য মেহেদি লাগানো নাজায়েজ। কারণ হাতে-পায়ে মেহেদি লাগানো নারীদের সাজসজ্জা হিসেবে গণ্য হয়। পুরুষের জন্য নারীদের পোশাক বা সাজসজ্জা গ্রহণ করা জায়েজ নয়।
নবিজি (সা.) মুসলিম পুরুষদের নারীর সাজ গ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষের ওপর এবং পুরুষের বেশধারী নারীর ওপর লানত করেছেন। (সহিহ বুখারি)
তবে সাজসজ্জার উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হলে পুরুষরা হাতে-পায়ে মেহেদি লাগাতে পারেন। সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে নবিজি (সা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই তলোয়ার বা কাঁটা ইত্যাদির কারণে আহত হয়েছেন, আমাকে তাতে মেহেদি লাগিয়ে দিতে বলতেন। (সুনানে তিরমিজি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবিজির (সা.) সেবিকা সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, কেউ মাথাব্যথার অভিযোগ নিয়ে নবিজির কাছে এলে তিনি তাকে বলতেন, ‘শিঙা লাগাও’। আর পায়ে ব্যথার অভিযোগ করলে বলতেন, মেহেদি পাতার রস লাগাও। (সুনানে আবু দাউদ)
এ ছাড়া কাচা বা পাকা চুল ও দাড়িতেও নারী ও পুরুষরা মেহেদি লাগাতে পারেন। কারণ চুল-দাড়িতে মেহেদি বা অন্যান্য রঙের খেজাব লাগানো শুধু নারীর সাজ হিসেবে গণ্য হয় না।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যেসব জিনিস দিয়ে তোমরা বার্ধক্যের চিহ্ন পরিবর্তন করতে পারো, (অর্থাৎ চুল-দাড়ির সাদা রঙ পরিবর্তন করতে পারো) তার মধ্যে মেহেদি ও কাতাম (মেহেদি জাতীয় বস্তু) হলো সর্বোত্তম। (সুনানে ইবনে মাজাহ)