প্রহসনমূলক বিচারে ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি না দিলে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে “জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবার” ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিভাগীয় মামলায় সাজা শেষে হত্যা মামলায় যারা যাবজ্জীবন বা ফাঁসির আদেশ পেয়েছেন তাদের পাশাপাশি, যাদের ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হয়েছিল, তারা সাজা ভোগ করেও এখনও কারাগারে আটক আছেন। কেবল চলমান বিস্ফোরক মামলার কারণে গত ১৬ বছর ধরে ২০০ জনেরও বেশি বিডিআর সদস্য মুক্তি পাচ্ছেন না।
তাদের দাবি, সাক্ষীদের জোরপূর্বক সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ আদালতে প্রকাশ হলেও মামলা বাতিল হয়নি। জানুয়ারি ২০২৫ থেকে একের পর এক আদালত বসছে, জামিনের আশ্বাস দেওয়া হলেও কেউ জামিন পাচ্ছেন না। দীর্ঘ কারাবাসে অধিকাংশ বন্দির বয়স এখন ৪০ থেকে ৭৫ বছর। পুষ্টিহীনতা ও নানা রোগে ভুগে অনেকে পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
পরিবারগুলো জানায়, উপার্জনক্ষম সদস্য কারাগারে থাকায় অসহায় পরিবারগুলো অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। আইনজীবীর খরচ চালানো বা বন্দিদের সহায়তা করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দাবি, সাজা ভোগ শেষে এখনও আটক থাকা সদস্যদের প্রতি সুবিচার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, ‘১৮ হাজারের বেশি চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যকে পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে গড়িমসি করা হচ্ছে। আমরা সেনা অফিসার হত্যার বিচার চাই, তবে বিডিআর সদস্যদের ওপর ষড়যন্ত্রমূলক প্রহসনের অবসান চাই। আমরা ইনসাফ চাই, ন্যায়বিচার চাই, কোনো করুণা বা প্রতিশ্রুতি চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই চালিয়ে যাব। রাষ্ট্র যদি ন্যায়বিচার না দেয়, তাহলে আগামীতে বৃহত্তর গণআন্দোলন হবে জনতার রাস্তায়।’