কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ২৭ দিন পর আদালতের নির্দেশে মামলার রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দায়ের হওয়া মামলায় চকরিয়া থানার সাবেক ওসি শফিকুল ইসলাম ও চকরিয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রাবেয়া খানমসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত (আসামি) করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে মামলা রেকর্ড করতে নির্দেশ দেন জেলা দায়রা ও জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত জজ মো.মামুনুর রশিদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র দাশ।
অভিযুক্তরা হলেন- চকরিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম, পুলিশের এএসআই হানিফ মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল, মহিউদ্দিন, পুলিশ কনস্টেবল ইসরাক হোসেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম ও সহকারি শিক্ষক মো.জসীম উদ্দিন, সহকারি শিক্ষক মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক মো. পারভেজ, নৈশ প্রহরী নুর মোহাম্মদসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আদালতের নির্দেশসহ মামলার নথি থানায় আসামাত্র মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছি। যা নির্ধারিত সময়ে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগষ্ট বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও নগদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দুর্জয়কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। আসলে গত ১০-১২ দিন ধরে এই অভিযোগে তাকে মানসিকভাবে চাপে রাখা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আবারও একই অভিযোগে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে থানা হাজত খুলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।