এবার বাংলাদেশের প্রতিটা মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের জায়গা করে নিতে কর্মী ও দ্বায়িত্বশীলদের উদ্বুদ্ধ করলেন আলোচিত ইসলামী আলোচক ও বক্তা মাওলানা তারিক মুনাওয়ার। সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন” এর নেতাকর্মী ও দ্বায়িত্বশীলদের উপস্থিতিতে আয়োজিত একটি সভায় এ বক্তব্য প্রদান করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা মসজিদ এবং মসজিদের কমিটিগুলো আওয়ামীলীগের দুষ্টদের কবলে রয়েছে। যারা সুযোগ ও সময় বদলে সবার পক্ষে সাফাই গায়। এরা প্রত্যেকে মুনাফিক এবং ইসলামী আদর্শ থেকে বিচ্যুত। আমাদের উচিত আমাদের আদর্শের বাস্তবায়ন করা। এবং নিশ্চিত ভাবে প্রত্যেকটি মসজিদ কমিটিতে আমাদের আদর্শের ধারক ও বাহক যারা তাদের অন্তর্ভূতি নিশ্চিত করা।
আলোচনার একপর্যায়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যান্য ইসলামী বক্তা ও আলোচকদের নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বিশেষ করে ইসলামী বক্তা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর নাম উল্ল্যেখ তিনি বলেন, আব্বাসী একটা পাগল এবং কাফের। যদিও সে বর্তমানে কুফর থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। সম্ভব হলে তাকেও আমাদের দলে অন্তর্ভূক্ত করা। এছাড়াও গিয়াস উদ্দিন তাহেরী এবং আতাউল্লাহ জাহেরীদের মতো বক্তাদেরও থাপ্পড় দিয়ে শুধরিয়ে দলের অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে মত দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মাওলানা তারিক মুনাওয়ার একজন প্রখ্যাত আলেম এবং দীর্ঘদিনের সুপরিচিত ইসলামী সুবক্তা হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করলেও, সম্প্রতি কিছু সভা সেমিনার এবং মাহফিলগুলোতে তার বিতর্কিত মন্তব্যগুলো সামজিক মাধ্যমে হাস্যরস এবং বিতর্কের জোগান দিচ্ছে। ইতিপূর্বে একটি মাহফিলে তিনি দাবী করেছিলেন, ২০১৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পে তার সঙ্গে হোয়াইট হাউজে সাক্ষাত করতে চেয়েছিলেন। যদিও পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৯০ সালে ইংলিশ লীগের দামী খেলোয়ার হওয়া, একই বছর অক্সফোর্ডের সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হওয়া, বিশেষ করে সে বছরই একজন সুন্দরী হলিউড অভিনেত্রীকে ইসলামে দীক্ষিত করার দাবীও এসেছে তার বক্তব্য থেকে।
প্রযুক্তির দুনিয়ার প্রভাশালী বেলগ্রেড যিনি আইফোন তৈরী করেছেন, তার সাক্ষাৎ নাকোচ করার পাশাপাশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় একাধিকবার তিনি ভ্রমণ করেছেন। সেই বক্তব্যে রকেটে চড়া এবং তার অভিজ্ঞতায় রকেটের ভেতরের পরিবেশ নিয়েও বক্তব্য রয়েছে।