চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াত কর্মী মো. রুবেল আনসারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কুতুব উদ্দিন শিবলী।
বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল করিম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুবেল আনসারী গত ১৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মেম্বারকে থানা থেকে জামায়াত নেতা ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এর ফলে সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
সংগঠনের অভিযোগ, এর আগেও রুবেল আনসারীর বিরুদ্ধে একাধিকবার শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এসব কারণে তাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে এবং কর্মী ও প্রাথমিক সহযোগী সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে একই ধরনের সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা তাওহীদুল হক চৌধুরীকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল।
সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে অন্য সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য সব জনশক্তিকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, বহিষ্কার আদেশের পেয়ে রুবেল আনসারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটা মিথ্যা অপপ্রচার নয়, চির সত্য। সেলিম মেম্বারকে ছাড়াতে প্রফেসর জাহাঙ্গীর ভাই থানায় গিয়েছিল। আর একথা সাংবাদিকদের কাছে জাহাঙ্গীর ভাই বলেছে যে, উনি সেলিম মেম্বার আওয়ামী লীগ করে সেটা জানত না। মুলত সত্য বলায় ও ইকবালের কাছে বিক্রি হয়ে আমাকে বহিষ্কার করেছে। আমি তো এমনিতেই আপনাদের মিথ্যের বাহিনী থেকে দূরে ছিলাম। তবে সহ যোদ্ধা ভাইদের প্রতি অনুরোধ সত্যকে সত্য বলবেন। তাহলেই আপনি নিজেকে ইসলামি আন্দোলনের সৈনিক বলে পরিচয় দিতে পারবেন।’