1. admin1@shimantoshohor.com : ডেস্ক নিউজ • : ডেস্ক নিউজ •
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : ডেস্ক নিউজ : : ডেস্ক নিউজ :
শিরোনামঃ
রামুতে হাতির চিকিৎসা করতে গিয়ে গুরুতর আহত বন বিভাগের দুই পশু চিকিৎসক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ- কক্সবাজার জেলা শাখার ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী র‍্যালি অনুষ্ঠিত কাউয়ারখোপ-মনিরঝিলের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিখোঁজ কক্সবাজার জেলা ছাত্রশিবিরের ইসলামী শিক্ষা দিবসের আলোচনা সভা খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে কক্সবাজার জেলা বিএনপির মিলাদ ও দোয়া রেজুখাল চেকপোস্টে ৮৫০ ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও এএসআই দেনার চাপে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে মিনারুলের আত্মহত্যা” লিখে যান চিরকুট পাকিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত পাঁচ হ্নীলায় পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে সমন্ধি খুন

এই সরকার একটি দলকে কোলে, আরেকটিকে কাঁধে রেখেছে: মির্জা আব্বাস

✍️ প্রতিবেদক: সীমান্ত শহর ডেস্ক:

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নিয়ে বিশেষ কয়েকটি দল রাজনীতি করছে এবং তাঁদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্যের পাশাপাশি তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও আনেন। তিনি বলেন, ‘দেশের একটি দলকে আপনারা কোলে রেখেছেন, আরেকটি দলকে রেখেছেন কাঁধে।’

আজ শুক্রবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক দলীয় কর্মসূচিতে মির্জা আব্বাস এমন মন্তব্য ও অভিযোগ করেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মৌন মিছিলের এই কর্মসূচি ছিল বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার। মিছিলপূর্ব সমাবেশে মির্জা আব্বাস বক্তৃতা করেন। পরে নয়াপল্টন থেকে মৌন মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, আমার যে ভাইয়েরা শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁরা যদি আজ কেউ একজন বেঁচে থাকতেন কিংবা তাঁরা যদি বুঝতে পারেন যে তাঁদের শাহাদাত নিয়ে, তাঁদের লাশ নিয়ে, তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে যেভাবে আজ ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, রাজনৈতিক ব্যবসা চলছে; তাহলে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই মার্জনা করতেন না।’ তিনি বলেন, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ওই ঘটনাগুলো নিয়ে বিশেষ কয়েকটি দল রাজনীতি করছে এবং তাঁদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজ তাঁদের (শহীদদের) বিক্রি করে একটি দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে আর কিছু দল আছে, তারা বেচাকেনা করছে। এই একজন পীর সাহেব, নামটা বলতে চাই না। যিনি বলেছিলেন, জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে। মনে আছে কি বলেছিল কথাটা? উনি আজকে জামায়াতের কোলে উঠে বসেছেন।’ তিনি বলেন, জামায়াত একসময়

বিএনপির কাঁধে পাড়া দিয়ে মন্ত্রী হয়েছে। একসময় আওয়ামী লীগের দালালি করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি এই আচরণ বন্ধ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দেশের একটি দলকে আপনারা কোলে রেখেছেন, আরেকটি দলকে রেখেছেন কাঁধে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা খুব তাড়াতাড়ি একটি নির্বাচন দিন। দিলে কিন্তু যেটা হবে, দেশে যে আজকের অশান্ত পরিস্থিতি, এই অশান্ত পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাবে। আর না দিলে আমরা ভাবব, দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া আপনারাই করছেন।’

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রায় ৪২২ জন শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ওই ঘটনাগুলো নিয়ে বিশেষ কয়েকটি দল রাজনীতি করছে এবং তাঁদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে। শহীদেরা কোনো একক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেননি। তিনি বলেন, ‘শাহাদাত বরণকারী ভাইয়েরা সব সময় একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। আমরাও একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই। যে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মাধ্যমে বিদেশি প্রত্যাবর্তনকে রুখে দেওয়া যাবে। এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা যাবে। এই দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করা যাবে।’

বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করে সমালোচকদের মুখে লাগাম দেওয়ার আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি। দলটি ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের জন্য। ভোটের অধিকারের জন্য আর আজ বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, তাহলে আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়া হয়ে গেল। আরে ভাই, বিএনপির একটা নেতাও জীবিত থাকতে কখনোই আপনাদের এই খায়েস পূরণ হবে না।’

মৌন মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক রফিকুল আলম (মজনু)। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!