চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেনীখিল, কয়লা, বদ্ধভবানি এলাকায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এসব পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত। প্রতি রাতে পিকআপ ভর্তি করে মাটি বিক্রি করছে পাহাড় খেকোরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিকআপচালক রিপনের নতুন বাড়ি করা হয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় কেটে সমতল করে করা হয়েছে বসতি। পাশে পিকআপ চালক রুবেল ও তার ভাই রিয়াদের বসতভিটার সামনেও পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখা যায়।
জানা গেছে, পাহাড় কেটে রাতের আঁধারে মাটি বিক্রি করেন তারা। অবৈধভাবে দীর্ঘদিন পাহাড় কেটে বাড়ি-ঘর তৈরি করে আসছে। সবুজ প্রকৃতি ঘেরা এই এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটার ফলে ধ্বংস হচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী পাহাড়। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। রিপন ড্রাইভার, রুবেল ও পিকআপচালক রিয়াদ পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এলাকার কিছু পাহাড় খেকো তাদের ব্যক্তি স্বার্থে সরকারি খাস মালিকানাধীন পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি করছে। এ ছাড়া পাহাড় কেটে সেই মাটি বিক্রি করে দেদারসে বেচাকেনার মাধ্যমে রাতারাতি ধনী বনে যাচ্ছেন।
এদিকে পাহাড়গুলো কেটে সৌন্দর্যহানীসহ গোটা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার বলেন, ‘পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা খবর পেয়েছি একটি চক্র গভীর রাতে পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।