স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে উৎখাত করতে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচনই একমাত্র সমাধান বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার এজেন্ডায় নিম্নকক্ষে পিআরের বিষয়টি না রাখায় কমিশনের নিন্দা জানিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ। জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে এ পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
নিম্নকক্ষে পিআর না হলে জুলাই অভ্যুত্থানের মৌলিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে না মন্তব্য করে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, তাঁদের দল ২০০৮ সাল থেকে পিআর নিয়ে কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পিআর নিয়ে জনমত গড়ে তুলেছে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একক আলোচনায় পিআরের পক্ষে তাঁদের দল জোরালো অবস্থান জানিয়েছে। লিখিতভাবে পিআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনার এজেন্ডাতে নিম্নকক্ষে নির্বাচনপদ্ধতি বিষয়টিই অন্তর্ভুক্ত করেনি।
মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করার দাবি জানালেও রূঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। নিম্নকক্ষে পিআরের আলোচনাকে এজেন্ডাভুক্ত না করা এবং আলোচনা তুলতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আচরণের নিন্দা প্রকাশ করছে।’
বৈঠকে দলের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘দেশের সব মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করতে এবং দেশকে ভোট নিয়ে অরাজকতা, হানাহানি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করতে পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে পিআরই সর্বোত্তম পন্থা। আমরা উভয় কক্ষেই পিআর চেয়েছি।’