1. admin1@shimantoshohor.com : নিজস্ব প্রতিবেদক: : নিজস্ব প্রতিবেদক:
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : বিশেষ প্রতিবেদক : Badioul Alam বিশেষ প্রতিবেদক
শিরোনামঃ
আমাদের ৩ জন শেখ মুজিব রয়েছে : মির্জা গালিব পর্যটন শহরের বিষফোঁড়া এখন রোহিঙ্গা কিশোর গ্যাং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা চাঁদার জন্য এমপি শাম্মির বাসায় যাওয়ার আগে উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে আমার কথা হয়: অপু সেনাপ্রধানের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি, আইএসপিআরের সতর্কবার্তা শজিমেকে রাখা হলো না হার্ট অ্যাটাক করা হিরো আলমকে উখিয়ায় কল থেকে পানি সরবারাহকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের সংঘর্ষ উখিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু চেকপোস্টে ডগ ‘জুলিয়া’র ঘ্রাণে ইয়াবাসহ উখিয়ার জান্নাতুল আটক উখিয়ায় ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির মামলায় ‘খতিয়ান কালু’ গ্রেফতার

রপ্তানি আরও এগিয়ে নেবে বিএসটিআইয়ের ‘হালাল ল্যাব’

✍️ প্রতিবেদক: সীমান্ত শহর ডেস্ক:

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৮ বার পঠিত

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, প্রসাধন সামগ্রী প্রভৃতিকে ‘হালাল’ পণ্য বা সেবা বলা হয়। গত কয়েক বছর ধরে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো এ সনদ নিতে বেশ আগ্রহী। বিদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে হালাল সনদ গুরুত্বপূর্ণ। সনদের কারণে হালাল পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে।

বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন পণ্যের ক্ষেত্রে এ সনদ দেয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০১৭ সালে একটি হালাল ল্যাব উদ্বোধন করলেও যন্ত্রপাতির অভাবে সেটি এখনো সচল হয়নি। যে কারণে এর আগে সনদ দেওয়া দুটি সংস্থাই বাইরের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও প্রতিবেদন যাচাই করে হালাল সনদ দিতো।

গত ১৪ জুলাই বিএসটিআইয় নিজস্ব ল্যাব উদ্বোধন করেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক মানের ওই ‘ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি’ দেশের প্রথম ও একমাত্র সচল হালাল পরীক্ষাগার বলা যায়।

পণ্যের হালাল সনদ কেন দরকার?
পণ্যের হালাল সনদ বিশ্বব্যাপী মুসলিম ভোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা নিশ্চিত করে পণ্যটি ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী হালাল বা বৈধ। এতে কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ উপাদান নেই। হালাল সনদ মূলত একটি পণ্যের ওই নিশ্চয়তা দেয় যে, পণ্যটি মুসলিমদের জন্য গ্রহণে কোনো বাধা নেই। পণ্যটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

বিশ্বে প্রতিনিয়ত হালাল পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। প্রতি বছর হালাল পণ্যের বাজার বাড়ছে ১০ শতাংশ হারে। বর্তমানে হালাল পণ্যের বাজার ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের, যা তৈরি পোশাকের দ্বিগুণেরও বেশি। বিশ্বে তৈরি পোশাকের বাজার ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের।

বাংলাদেশ হালাল পণ্য রপ্তানি করছে। তবে এর পরিমাণ মাত্র ৮৪৩ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ডলারের, যার বেশিরভাগই কৃষিভিত্তিক পণ্য। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ধরতে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে পণ্য রপ্তানির জন্য এ সনদ দরকার হয়।

কীভাবে নেওয়া যায় এ সনদ
বিএসটিআই প্রক্রিয়াজাত দ্রব্য, প্রসাধন সামগ্রী ও ওষুধের ক্ষেত্রে হালাল সনদ দেয়।

বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক ও হালাল ল্যাবের ইনচার্জ শরীফ মো. সৈয়দুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে কোনো পণ্যের হালাল সনদের জন্য প্রথমে বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত ফরমে সংস্থাটির মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করতে হয়। আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠান ও কারখানার নাম-ঠিকানা, ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন, রেজিস্ট্রেশন, স্বাস্থ্য পরিবেশ ও অগ্নিনির্বাপক সনদ, ব্র্যান্ড ও পণ্যের ট্রেডমার্কসহ আরও কিছু কাগজপত্র লাগে।

এরপর বিএসটিআইয়ের হালাল নিরীক্ষা দল, যেখানে টেকনিক্যাল ও শরিয়াহ মোতাবেক সদস্যরা থাকেন, তারা ওই প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। যারা কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপের কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা সংশোধনের জন্য সময় বেঁধে দেন।

এরপর সেসব সমাধানের পরে দ্বিতীয় ধাপে ওই কারখানা থেকে সংগ্রহ করা কাঁচামাল ও অন্য পণ্য পরীক্ষার জন্য হালাল ল্যাবরেটরিতে নেওয়া হয়। সে সময় শূকরের কোনো উপাদানের উপস্থিতি, অ্যালকোহল, কীটনাশক, ক্ষতিকর ভারী ধাতু, ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।

সবকিছু যাচাইয়ের পরে সন্তোষজনক হলে হালাল কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়। বিএসটিআইয়ের ওই ১৫ সদস্যের কমিটি সন্তুষ্ট হলে সনদ দেন। কোনো শর্তের ব্যত্যয় হলে বিএসটিআই পরে হালাল সনদ স্থগিত বা বাতিল করতে পারে।

খরচ কত?
শুরুতে আবেদনের জন্য খরচ হয় এক হাজার টাকা। এরপর পরীক্ষার জন্য একজন আবেদনকারীকে ফি দিতে হয় সবোর্চ্চ ২৩ হাজার ৮০০ টাকা। আর সনদ পেলে ক্ষুদ্র শিল্পে সনদ বা নবায়ন ফি এক হাজার টাকা, যা মাঝারি শিল্পে তিন হাজার ও বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা প্রতি বছর।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com