২৪ এ মানুষ শহীদ হওয়ার পর কোন ফর্মে এই শাহবাগীদের সেই পুরনো আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু।
বুধবার (০৬ আগস্ট) নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু লিখেন, শাহবাগের আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ ঘৃনা করতে করতেই রাজনীতি বুঝেছি। হাসিনাকে ঘৃণা করতে শিখেছি। শাপলা চত্ত্বর থেকে শুরু করে সেইসময়কার নাস্তিকদের পড়ুন এন্টিইসলামিষ্টদের আচরণ দেখে দেখে আরো প্রতিবাদী হয়ে উঠেছি।
তিনি উল্লেখ করেন, আমার সেই ফেবু জীবনের ১৪ বছরের দাগ কাঁটা অনেক ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো ইসলামপন্থিদের উপর অত্যাচার। সেই সময়ে আমার মত জিন্স প্যান্ট পড়ে ঘুরে বেড়ানো মেয়েটা শুধুমাত্র বিবেকের তাড়নায়ই শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।
এনসিপির এ নেত্রী উল্লেখ করেন, ২৪ যেমন আমার জন্য ট্রমার তেমনি সেসকল অত্যাচারের ভিডিও, ছবি, ডাইনিটার রং মেখে শুয়ে থাকা বলা সেই ভয়েজ কিংবা বিশ্বজিৎকে মারার সেই দৃশ্যও আমার জন্য ট্রমার। আমরা সেই সময় থেকেই একটা যুদ্ধ চলমান রেখেছি। এসব বললে আবার জামায়াতি কিংবা ইসলামি আন্দোলন কিংবা হেফাজতের লোক বলে ট্যাগ দিতে সুবিধা হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনের আমার ফেসবুকের জীবন হচ্ছে ১৪ বছর। এই ১৪ বছরে হাজারবার আমাকে রাজাকার বলা হয়েছে। কিন্তু ২৪ এ মানুষ শহীদ হওয়ার পর কোন ফর্মে এই শাহবাগীদের সেই পুরনো আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে দেয়া হবে না। ৭১ আমরা সকলেই ধারণ করি তাই বলে একাত্তর বেঁচে দমনপীড়নের দিন আর আসতে দেয়া যাবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চেতনার মন্দির ৩২ কে ঘৃণার সাথে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেইভাবেই নতুন করে গড়ে ওঠা চেতনাব্যবসা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের রাজাকার ন্যারেটিভ ধারণ করা যে কোনো খুদ্রগোষ্ঠী আর আওয়ামী লীগের কালচারাল সেলের গোষ্ঠীর কঠোর দমন চলমান রাখতে হবে । শাহবাগের যে ন্যারেটিভকে বাংলাদেশের একটা শিশু বাচ্চাও ঘৃণা করে, সেই ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনা মানে আওয়ামী লীগের কালচার একটিভ করা।