1. admin1@shimantoshohor.com : নিজস্ব প্রতিবেদক: : নিজস্ব প্রতিবেদক:
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : বিশেষ প্রতিবেদক : Badioul Alam বিশেষ প্রতিবেদক
শিরোনামঃ
পুলিশের এডিসিকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল ছিনতাইকারী এনসিপির পরিচয়ে বেপরোয়া সম্রাট মধ্যরাতে আ.লীগের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১৮ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী রামুতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত নেত্রকোণায় ইউএনওর লাঠি হাতে কিশোরকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল পেকুয়ায় আ’লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার রামুতে বজ্রপাতে শ্রমিকের মৃত্যু বাঁশখালীতে ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতা ভারতীয় নাগরিক আটক উখিয়ায় এনজিও কর্মকর্তার নেতৃত্বে শিক্ষকের ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

কলকাতায় পার্টি অফিস করেছে আওয়ামী লীগ

✍️ প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৩ বার পঠিত

গেল বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন দেশান্তর। তাদের একটি বড় অংশ পাড়ি জমিয়েছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এবার জানা গেল, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ‘আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস’ খুলে সেখানে চলছে দলীয় কার্যক্রম। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

কেমন সেই পার্টি অফিস?

কলকাতার কোনো একটি এলাকার বাণিজ্যিক এলাকার একটি কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম চলছে বলেই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। খবর মতে, বাণিজ্যিক পরিসরটির লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সার দিয়ে বাণিজ্যিক সংস্থার দফতর। করিডোরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তার মধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, ২৫০০ বা ২৬০০ স্কোয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে।

কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি কোথাও নেই ঘরটির বাইরে বা ভেতরে।

এ ব্যাপারে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু বা নেত্রীর কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি। আমরা চাইনি যে, এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় দপ্তরে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয়নি। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু বাস্তবে এটি একটি বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।

তিনি জানান, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই দফতরেই হয়ে যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ দুয়েক নেতাকর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাংকয়েট হল বা কোনো রেস্তরাঁর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে নেয়া হয়।

কারা যাতায়াত করেন ‘পার্টি অফিসে’?

গত বছরের ৫ অগাস্টের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক শীর্ষ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।

এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে এসেছেন ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছিল, অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়রসহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় ২০০ জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন।

এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারও পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন কাটিয়ে যান।

এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এখন যে সংখ্যাটা খুব বেশি বেড়েছে তা নয়। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের ৮০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং তারও আগে সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ১০-১২ জন নেতা আছেন এখানে। আবার এমনও কয়েকজন এসেছেন যারা কলকাতায় এসে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে চলে গেছেন।

তিনি বলেন, অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার রোজই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস।

তবে কলকাতার কোথায় বা কোন এলাকায় এই পার্টি অফিস খোলা হয়েছে তা প্রকাশ করেনি বিবিসি।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com