কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির এক সদস্য অস্ত্র ও গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে। সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)-এর পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উখিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি জানান, সম্প্রতি কিছু সশস্ত্র ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতির লক্ষ্যে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, গুম, খুন, অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত। এসব অপরাধ দমনে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি, টহল জোরদার ও নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আত্মসমর্পণকারী সদস্যের নাম জীবন তঞ্চঙ্গ্যা (২১)। পিতা চিংমং তঞ্চঙ্গ্যা, বাড়ি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জবুনিয়া গ্রামে। আত্মসমর্পণের সময় তিনি একটি একে-৪৭ রাইফেল, ৫২ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগাজিন বিজিবির কাছে জমা দেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আশঙ্কায় মিয়ানমারের মংডু এলাকায় অবস্থিত আরাকান আর্মির ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তার দাবি, সম্প্রতি অন্তত ৩০০ জন আরাকান আর্মি সদস্য বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পালিয়েছে এবং তারা যেকোনো সময় আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
ঘটনার পর বিজিবি উখিয়া ব্যাটালিয়ন সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করেছে। আটককৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ উখিয়া থানায় নিয়মিত মামলা করে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক, অস্ত্র, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির সাহসী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।