অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের প্রতিবাদ করায় নওগাঁ সরকারি কলেজে ছাত্রদল নেতা জুনায়েদ হোসেন জুনকে কলেজ প্রশাসনের লোকজন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। জুনায়েদ নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, নওগাঁ কলেজে অন্য কলেজের তুলনায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে, অথচ কোনো সুবিধা নেই বললেই চলে। ফি কমানোর দাবি জানালে উল্টো কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রনেতাকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। তাঁরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তালা খোলা হয়।
জুনায়েদ হোসেন জুন অভিযোগ করে বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাটসহ আমাদের জেলায় যে কলেজগুলো রয়েছে, তার তুলনায় নওগাঁ কলেজে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ভর্তি ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমি কলেজ প্রশাসনকে ফি কমানোর অনুরোধ করি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভর্তিপ্রক্রিয়া বন্ধ রাখার অনুরোধ করি। একপর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কর্মচারীদের ডেকে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের নির্দেশে সংঘবদ্ধ একটি চক্র বেধড়কভাবে আমাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং অধ্যক্ষসহ সব অভিযুক্তের শাস্তি চাই।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ‘আমার নির্দেশে কিছুই হয়নি। জুনায়েদ সকালে এসে কলেজের প্রতিটা কক্ষে ঘুরে ভর্তি বন্ধ রাখতে বলে। হামলার বিষয়টি আমি দেখিনি। আমি দেখি, সে কম্পিউটার কক্ষে বসে আছে। এ সময় তাকে রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিই। কিন্তু জুনায়েদ সেটি শোনেনি। সেই কক্ষে মূল্যবান যন্ত্রপাতি ছিল। উত্তেজনার কারণে ক্ষতির আশঙ্কা হওয়ায় তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় কর্মচারীদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়েছে শুনেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’