গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার ঘটনায় সরকার দৃশ্যমান কোন এ্যাকশন না নেয়ায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এরমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত দাবি করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি করেছেন তারা। না হলে ৪৮ ঘণ্টা পর যমুনা বা সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি আসতে পারে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলন করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী।
সেখানে দলটি মুখপাত্র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আজ নুরুল হক নুরকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার কথা ছিল। তবে শনিবার রাতে হঠাৎ নতুন জটিলতা দেখা দেয়ায় রাতেই তার বেশকিছু রিপোর্ট করা হয়। রিপোর্টে কিছু সমস্যা খুঁজে পাওয়ায় তাকে আজ রিলিজ দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, নুরের নাকের ভাঙ্গা হাড়ে জটিলতা রয়েছে। চোয়ালের ভাঙ্গা হাড় ফাকা হয়ে রয়েছে। এছাড়া লিভারে জটিলতা রয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সরকার প্রধান নুরকে দেশের বাইরে নেয়ার ঘোষণা দিলেও এখনও তাকে উন্নত কোন দেশে নেয়া হয়নি। সরকারের গড়িমসি লক্ষ্য করছি। এজন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরের দেশে নেয়া হবে। সরকারের দয়ার উপর নির্ভর করতে চাই না। সরকারের সেই ঘোষণাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি বলেন, আগামীতে আপনাকেও এমনভাবে হাসপাতালে আসতে হতে পারে। না হলে জুলাই যুদ্ধাদেরও হামলা করে হাসপাতালে পাঠাতে পারে। হামলার এতদিন পার হয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নিতে সরকারের কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি। সরকারকে আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি, এরমধ্যে হামলাকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ৪৮ ঘণ্টা পর কঠোর কর্মসূচি দেব। সেই কর্মসূচি হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও, বা সচিবালয় ঘেরাও। এই হামলার সাথে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জড়িত। তার দায় রয়েছে। এজন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকেও পদত্যাগ করতে হবে।