জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, পিআর পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত না। কারণ পিআর সিস্টেম যেসব দেশে কাজ করছে এখন এই মুহূর্তে তাদের বাস্তবতা ও আমাদের বাস্তবতা এক রকম না। এটা একটা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত সংলাপ হয়। এসময় শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বুদ্ধিজীবীরা সংলাপে অংশ নেন। সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন ভিসি এ এস এম আমানুল্লাহ।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, পিআর এই মুহূর্তে এক্সপেরিয়েন্স করতে যাওয়া যাবে না। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দ্বিতীয় যে কথাটি বলেছি- সারাদেশের ৫০০ উপজেলার ৬৪টা জেলায় আমাদের একটা নেটওয়ার্ক আছে। হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী আছে। তাদের কীভাবে কাজে লাগানো যায় ইসি ভাবতে পারে। আমরা ইসিকে সহযোগিতা করবো।
আরেকটা জিনিস আমরা বলেছি যে আমাদের এই সময়টাতে বাংলাদেশে প্রায় ২২ লাখ স্কাউট আছে এবং বিএনসিসি প্রায় ২২ লাখ স্কাউট এবং বিএনসিসিরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি এই বিষয়গুলো ছিল আমাদের সাজেশনের ভেতরে।
আরেকটা হলো দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে নির্বাচনের স্পষ্ট তারিখ সম্পর্কে এক ধরনের ধোঁয়াশা আছে। সেটা যত তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হবে তত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ এবং বিদেশে যারা অপেক্ষা করছে নির্বাচন নিয়ে এটা ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ আমাদের দেশে যত তাড়াতাড়ি হবে ততই সেই সন্দেহটা দূর হবে। এজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।