নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাজ্জাদ হোসেন (২৪) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ক্রাউন সিমেণ্ট কারখানার লোকজনের বিরুদ্ধে। ঢিল মেরে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সুমিলপাড়ার আইলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করলে উত্তেজিত জনতা কারখানা, পুলিশ ও আকটদের ওপর হমালা চালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে আসা নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান। নিহত সাজ্জাদ আদমজীনগর এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত যুবক একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। সে প্রতিদিন রাতে আইলপাড়া এলাকায় হাঁটাচলা করত। শনিবার দিবাগত রাতে আইলপাড়া থেকে ক্রাউন সিমেণ্ট কারখানার গাড়ি এসে ঈদগাহ এলাকায় আসলে সাজ্জাদ গাড়িতে ঢিল মারে। এতে গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। তখন গাড়ি চালক ও হেলপার মিলে তাতে মারধর করে টেনে হেঁচড়ে কারখানাতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মারধর করলে একপর্যায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রবিবার সকালে সাজ্জাদকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। তারা ক্রাউন সিমেণ্ট করাখানায় ভাঙচুর চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসানুজ্জামান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব জানান, সাজ্জাদ মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় ঘুরাঘুরি করতো। শুনেছি সে নাকি কারখানার গাড়িতে ঢিল ছুড়ছিল। এ জন্যে তাকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ১০ জনকে আটক করেছি। বিস্তারিত পড়ে বলা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, সাজ্জাদ নামে একজন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নিয়ে আসার সময় ভিকটিমের স্বজন ও উত্তেজিত এলাকাবাসী ইমোশনাল হয়ে পড়ে। আমরা এটাকে হামলা বলব না। আবেগে করে ফেলেছে। পরে আমলা তাদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।