জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারীর নেতাদের ওপর হামলার দায় সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও হেনস্তা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, গত দেড় দশক ধরে বিরোধীমত দমন, গুম-খুন ও জুলুম-নির্যাতনের ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসন দেশের ছাত্র-জনতা প্রত্যক্ষ করেছে; যা জুলাই অভ্যুত্থানকালেও অব্যাহত ছিল। অভ্যুত্থানের পর সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগেও অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একাধিকবার বিদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, যা তাদের (আওয়ামী লীগ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা। অথচ এ ঘটনায় হেনস্তার শিকার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেই সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পক্ষে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, বাংলাদেশের মাটিতে কোনোভাবেই এই সন্ত্রাসী দলকে পুনরায় ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।
বার্তায় বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারীর নেতারা বারবার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারাসহ বিভিন্ন ঘটনায় এই সরকার ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, যা অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।