কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে জসিম উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিলখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা মাতবর মুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জসিম উদ্দিন ওই এলাকার নুর আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রাত দেড়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মুরগির ডাক নকল করে বাড়ির লোকজনকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। দরজা খোলামাত্র তারা ঘরে ঢুকে প্রথমে জসিম উদ্দিনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং পরে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তারা জানান, নিহতের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ইখতিয়ার উদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার মনির আহমদ ওরফে মনুর মেয়ে উর্মির প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা ইখতিয়ারের পরিবার মেনে নেয়নি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ তীব্র হয় এবং সেই বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— সেগুনবাগিচা এলাকার মনছুর আলম, জহির আহমদ ও তার ছেলে আতিক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ শফি জানান, রাতের আঁধারে জসিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের ছেলে ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ আশিক অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস আগে উর্মি নামে এক মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। তার সঙ্গে আমার ছোট ভাই ইখতিয়ারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভাই ছুটিতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল, কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরেই আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মনছুর নামে এক ব্যক্তি চকরিয়ার হারবাংয়ে আমার খালার বাড়িতে গিয়ে খালা ও খালার জামাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। রাতেই বাবা খুন হন।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শিলখালী সেগুনবাগিচা এলাকায় জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।