চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন এলাকায় মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ রানা গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ১৮ জনকে আটক করেছে। এ সময় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টায় বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ইশান মিস্ত্রি হাট সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো-মো. হাসান (২২), জাহিদ হাসান (২৩), মনির হোসেন (২৩), শাহাদাত হোসেন (৪৯), মো. দেলোয়ার (২০), মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৮), অমিত হাসান শান্ত (২৫), মো. আব্দুল আজিম (৫৫), মো. ইকবাল (৩২), মোশারফ প্রকাশ সাহেব (৪৯), মো. রাব্বি সরকার (২৩), মোহাম্মদ তাসরিফ (২৫), সালাউদ্দীন বাদশা (২৫), নূর উদ্দীন মাসুম (৪২), মো. নূর উদ্দীন (৪৭), ইমতিয়াজুর রহমান (১৯), মো. রিমন (২৯), মো. টিপু (২৪)।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে এসআই আবু সাঈদ রানার মাথা ও হাতে গুরুতর জখম হন। তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৮ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, রাতের ওই মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বের হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা ধাওয়া দিয়ে এসআই রানাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, গভীর রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। সেখানে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এক এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।