1. admin1@shimantoshohor.com : ডেস্ক নিউজ • : ডেস্ক নিউজ •
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : ডেস্ক নিউজ : : ডেস্ক নিউজ :
শিরোনামঃ
নুরের শর্টটাইম মেমোরি লস হচ্ছে: রাশেদ খাঁন নির্বাচন করতে চাইলে বুলবুলের পদত্যাগ করা উচিত: তামিম ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না চাইলে ভালো রাজনীতি করতে বললেন সালাহউদ্দিন উখিয়ায় ১০ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক টেকনাফে বিজিবির অভিযানে তিন মাদক পাচারকারী আটক উপড়ে ফেলা হলো অটোরিকশাচালকের চোখ, চার হাত-পায়ের রগ কর্তন আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক : জামায়াত নেতা মিয়ানমারের প্রাক্তন নেত্রী অং সান সু চি বেঁচে আছেন কিনা, যাচাই করার কোনো উপায় নেই আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেবে জাপা সেন্টমার্টিন উপকূলে ইঞ্জিন বিকল ফিশিং বোটসহ ৩ জেলে উদ্ধার

আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক : জামায়াত নেতা

✍️ প্রতিবেদক: সীমান্ত শহর ডেস্ক:

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৬ বার পঠিত
জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা ও চবি ছাত্রশিবিরের এক নেতার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একটি ভিডিওতে ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম এসব মন্তব্য করেন।

জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের ওপর। আমরা এই জায়গার মালিক, তাই অন্যায় কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

জামায়াতের ওই নেতার বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপার ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট, এ এফ রহমান হল ও শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘দালালেরা সাবধান, চবি কারও বাপের না’, ‘চার তিন দুই এক, চাটুকাররা মুনাফেক’, ‘সন্ত্রাসীদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

জোবরা গ্রামবাসীর আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবির চবি শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ। স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে তার দেওয়া মন্তব্যকে নিয়েও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত সন্ত্রাসীরা এই এলাকার নয়, বাইরে থেকে এসেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এলাকাবাসীর কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা তো কখনো এ ধরনের কাজ করেননি; যারাই করেছে, তাদের ধরিয়ে দিন। খবর আসছে রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে এসেছেন। সবাই মিলে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।’ চবি শিবিরের ওই নেতার মন্তব্যকে ঘিরেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

এদিকে জামায়াত ইসলামীর ওই নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। পাশাপাশি মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবির নেতা হাবিবুল্লাহ খালেদ ঘটনার প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে পারেননি জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি বিষয়টি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম জোবরা এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অহংকারী ভাষায় ও শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপকর্মকে আড়াল করে দেয়। তার বক্তব্য স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার নামান্তর।

বিবৃতিতে শিবির নেতা হাবিবুল্লাহ খালেদের বিষয়ে বলা হয়, সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদকও (হাবিবুল্লাহ খালেদ) প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পারেননি জানিয়ে বলা হয়, হাবিবুল্লাহ খালেদের বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অপরাধকে লঘু করে কেবল বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

বিবৃতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা সরাসরি অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ছাত্রশিবির। এতে বলা হয়, হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে এক বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার দূরে থাক, তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়নি। অস্ত্র নিয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের ক্যাডার হওয়ার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান কালবেলাকে বলেন, ছাত্রশিবির রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ওপর অভিযোগ এনেছে। আমরা বরং সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি আহত ভাইদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা ও সেবা করার।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কালবেলাকে বলেন, জোবরার মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য প্রত্যাখান করছি। পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত অফিস সম্পাদকের বক্তব্যের জন্যেও দুঃখপ্রকাশ করছি।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!