মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের নয়াবাজারসংলগ্ন ওমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবির সরদার ওই গ্রামের ইউনুস সরদারের ছেলে ও বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি আগে ঢাকায় সিএনজি চালাতেন। বর্তমানে নিজ গ্রামে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের নয়াবাজার সংলগ্ন ওমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর মুসল্লিদের ডাকাডাকি ও ওয়াজ-নসিহত করতেন। এতে ওই ইমামের ওপর ক্ষুব্ধ হন একই গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা আলমাছ সরদার (৩০)। দুই দিন আগে এ নিয়ে ইমামের সঙ্গে আলমাছের বাকবিতন্ডা হয়। তখন কৃষকদল নেতা খবির সরদার এর প্রতিবাদ করলে আলমাছ তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে আলমাছ হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনার দিন গত রবিবার মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন সরদার বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় নয়াবাজার থেকে বড় ভাই দানেশ সরদারের বাড়ি যাওয়ার পথে আলমাছ ও তাঁর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে খবির সরদারের ওপর হামলা চালান। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁকে রাস্তার পাশের পুকুরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত খবির সরদারের বড় ভাই দানেশ সরদার অভিযোগ করে বলেন, “মসজিদের ইমাম সাহেবের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিল আলমাছ। আমার ভাই প্রতিবাদ করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রেখে গেছে তারা। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।”
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন,”মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।