কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইট, রড, বালু, সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত একটি সেমিপাকা স্থাপনায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ক্যাম্প-৮ ইস্ট-এর বি-৪১ ব্লকে পরিচালিত যৌথ অভিযানে ঘরটির একাংশ ও ভেতরের কংক্রিটের তাক ভেঙে ফেলা হয়।
এটি রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানিয়েছে প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি অপহরণ ও মাদক ব্যবসার পরিকল্পনার কেন্দ্রস্থল ছিল।
ক্যাম্প-৮ ইস্ট-এর ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) গাজী শরিফুল হাসান জানান, সেনাবাহিনী ও ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ঘরের একাংশ ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুরো অবৈধ স্থাপনাটি সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অভিযান নিয়ে এক রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ঘরটি নবী হোসেনের অপরাধের আস্তানা ছিল। ডাকাতি, অপহরণ ও মাদকের পরিকল্পনা হতো এখানেই। এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি। অবশেষে প্রশাসন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে।”
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, “ক্যাম্পে এমন পাকা ঘর আগে কখনো দেখিনি। এটা পুরো নিয়মের বাইরে। এখানে ইট, সিমেন্ট ও রড দিয়ে স্থাপনা তৈরির কোনো অনুমতি নেই।”
উল্লেখ্য, সাধারণত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘরগুলো তৈরি হয় বাঁশ, ত্রিপল ও প্লাস্টিক দিয়ে। সেই জায়গায় সেমিপাকা পাকা ঘর নজরে আসায় প্রশাসনের নজর পড়ে এবং অবশেষে অভিযান পরিচালিত হয়।