তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত এসআই কামালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এসআই কামাল হোসেন চলতি বছরের ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি বাজার এলাকায় তিনজনকে ফেনসিডিল পাচারের সময় স্থানীয়রা আটক করে। পরে তাদের সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৮ বোতল ফেনসিডিল ও পাচারে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন—উপজেলার আমিরাবাদ ৭নং ওয়ার্ডের সুখছড়ি এলাকার রমিজ উদ্দিন (৩৫), লোহাগাড়া সদরের হোসেন আলী মাতব্বর বাড়ির নাজিম উদ্দিন (৪৫) এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার তাজুল ইসলাম (৪৯)। রমিজ উদ্দিন স্বীকার করেন তারা তিনজন পুলিশের সোর্স। তিনি বলেন, এসআই কামাল তাদের জব্দকৃত ফেনসিডিলগুলো দিয়েছেন। এসব ফেনসিডিল পাশের পার্বত্য লামা উপজেলার আজিজ নগরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন এসআই কামাল বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানায়, এসআই কামাল তাদের পিছনের একটি প্রাইভেট কারে ছিলেন। ওই গাড়ীর পেছনে ইয়াবা ছিল বলে দাবি করেন তারা। সামনের গাড়ি আটকের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পেছনের গাড়ি থেকে পালিয়ে যান বলে জানান তার সোর্সরা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র-জনতা জানান, লোহাগড়ার থানা পুলিশের সদস্যরা মাদকদ্রব্য উদ্ধার করলেও তা আদালতে জমা না দিয়ে পাচার করেন এমন অভিযোগ তারা আগেও শুনেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পারেন, এসআই কামাল হোসেন তার ব্যক্তিগত সোর্সদের ব্যবহার করে লোহাগাড়া থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক কক্সবাজারে পাচার করবেন। এরপর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার শিক্ষার্থীদের বিষয়টি যাচাই করতে অনুরোধ জানানো হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘণ্টা চুনতি বাজার এলাকায় অবস্থান করে ছাত্ররা এসআই কামালের সোর্সদের মাদকসহ (ফেনসিডিল) আটক করতে সক্ষম হন।