1. admin1@shimantoshohor.com : ডেস্ক নিউজ • : ডেস্ক নিউজ •
  2. nrakash261@gmail.com : সীমান্ত শহর ডেস্ক: : NR Akash
  3. admin@shimantoshohor.com : প্রকাশক : সীমান্ত শহর ডেস্ক: Islam
  4. alamcox808@gmail.com : ডেস্ক নিউজ : : ডেস্ক নিউজ :
শিরোনামঃ
চকরিয়ায় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার বাংলাদেশে ঢুকছে ২ লাখ কোটি টাকা জাল নোট: পোস্টে জুলকারনাইন মাথা কেটে অপারেশনে দুই মাসের হাবিবার মৃত্যু, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ চিকিৎসকের জামায়াত ক্ষমা না চাইলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী এসএমপির নথি ফাঁস: বিব্রত পুলিশ, নেপথ্যে আ’লীগ দোসর মেধা তালিকায় নেই, বিশেষ সুবিধায় হলে থাকেন ছাত্রদল-শিবির-বাগছাসের ৪ চাকসু ও হল সংসদ প্রার্থী ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা ফারুকীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা কায়কোবাদ রেজুখাল চেকপোস্টে ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী গ্রেফতার রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৯৬ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপ, ১২ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়!

লাইসেন্সহীন ফার্মেসীতে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা

✍️ প্রতিবেদক: জসিম উদ্দিন টিপু •

  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৮ বার পঠিত

টেকনাফ উপজেলায় নতুন পুরাতনসহ মোট ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এসব ক্যাম্পের অভ্যন্তরে শতাধিক ছোট-বড় অবৈধ ফার্মেসী রয়েছে বলে জানাগেছে। ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে গড়ে উঠা এসব ফার্মেসী টোটালি রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত। দেখা গেছে, ফার্মেসী গুলো বেশীর ভাগই অনভিজ্ঞ এবং যুবক শ্রেনীর রোহিঙ্গারা চালাচ্ছেন।

তারা ইচ্ছামত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বলে ক্যাম্পে কর্মরত উন্নয়ন সংস্থার লোকজন এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এসব ফার্মেসীতে নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স। তার উপর নাই কোন ফার্মাসিষ্ট। তবুও নিজের মত করে চিকিৎসার নামে লোকজনকে সংশ্লিষ্ট ঔষুধের দোকান থেকে ইচ্ছামত মেডিসিন সরবরাহের মাধ্যমে অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে শরণার্থী বিষয়ক কমিশনারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ঔষধ প্রশাসনের সাথে এক যৌথ সভা অনুষ্টিত হয়েছে বলে জানাগেছে। সভায় ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত অবৈধ ঔষুধের দোকান বন্ধে ঔষধ প্রশাসনের নেতৃত্বে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সুত্র জানায়।
সরেজিমনে দেখা গেছে, ক্যাম্প-২১ (চাকমারকুল), ক্যাম্প-২২ (রইক্ষ্যং), ক্যাম্প-২৫ (আলীখালী), ক্যাম্প-২৪ (লেদা), ক্যাম্প-২৬ (নয়াপাড়া), ক্যাম্প-২৭ (জাদীমুরা) ও মুচনী রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পসহ ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে যত্রতত্র ঔষুধের দোকান খুলে বসেছে। দেখা গেছে, বেশীর ভাগ দোকানেই ঔষুধ বিক্রির কোন প্রকার বৈধ লাইসেন্স নেই। যারা পরিচালনা করছেন তাদেরও চিকিৎসা বিষয়ে বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই। ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির লোকজন জানায়, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গা কর্তৃক পরিচালিত ফার্মেসীগুলোতে সব ধরণের মেডিসিন পাওয়া যায়। তারা আরো জানিয়েছেরন, এখানকার ফার্মেসীতে এমন কোন মেডিসিন নেই। যা তারা ফার্মেসীগুলোতে তুলেননি।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির দুয়েকজন সদস্য জানান, নতুন-পুরাতনসহ ৭টি ক্যাম্পে ছোট-বড় অন্তত: ১শ টি অবৈধ ঔষুধের দোকান রয়েছে।
ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন অনভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে পরিচালিত ফার্মেসী সমুহে ক্যাম্পের লোকজন নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

 

চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা প্রদানে রোগী এবং রোগীর কেয়ার টেকারদের সাথে ঔষুধ বিক্রেতাদের মধ্যে প্রায় সময় বাকবিতন্ডা এবং বিভিন্ন সময়ে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।

 

ঔষধ প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, ঔষধ আইন ১৯৪০ এবং তদধীন প্রণীত বিধি দি বেঙ্গল ড্রাগ রুলস, ১৯৪৬-এর সিডিউল সি এবং সি (১) ভুক্ত এবং উক্ত সিডিউল বর্হিভূত জৈব ও অজৈব ঔষধ বিক্রি, বিক্রয় ও প্রদর্শনের নিমিত্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ১৪টি শর্ত সাপেক্ষে ড্রাগ লাইসেন্স প্রদান করেন। সে হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঔষুধের দোকানগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। টোটালি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে। জনস্বার্থে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত সব ফার্মেসী বন্ধ করার দাবী সচেতন মহলের।

 

লেদা ক্যাম্পের ডি ব্লকের ৩৪৪নাম্বার কক্ষে জনৈক লোকমান হাকিমের ছেলে ডা: মো: হোছন কাগজপত্র ও কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই ফার্মেসী খুলে বসেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি (ডা: হোসন) ফার্মেসীতে বসে আসেন। একটু আগে রোগীর বাড়ী থেকে আসছেন জানিয়ে তিনি বলেন,পুলিশের তরফ থেকে মাঝে মধ্যে বাঁধা আসলেও পয়সা পাতি দিয়ে তাদের ম্যানেজ করে চলতে হয় আরকি।
ড্রাগ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারস্থ ঔষধ প্রশাসনের ঔষুধ তত্ত্বাবধায়ক কাজী মোহাম্মদ ফরহাদের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়।

তাঁর ব্যবহ্রত হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

এদিকে ক্যাম্প-২৪ এর ইনচার্জ (সিআইসি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীম আল ইমরান জানান, তাদেরকে(রোহিঙ্গাদেরকে) ক্যাম্প অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ফার্মেসীর বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে নিষেধ করা হয়েছে।

এসব (ঔষুধের দোকান) বন্ধে অতীতেও ছোটখাট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। শীঘ্রই ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত অবৈধ ঔষুধের দোকান বন্ধে বড় ধরণের অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন এই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

 

জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মোহামুদুল হক জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে তাদের দ্বারা পরিচালিত ঔষুধের দোকান বন্ধে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে শরণার্থী বিষয়ক কমিশনার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে প্রতিমাসে ঔষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবেন জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন,ক্যাম্প হোক বা ক্যাম্পের বাইরে হোক চিকিৎসার নামে কোন ধরণের অপচিকিৎসা করতে দেওয়া হবেনা।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© 2025 Shimanto Shohor
Site Customized By NewsTech.Com